উত্তর ২৪ পরগণার সন্দেশখালিতে টহলদারির সময়ে দুষ্কৃতীদের হামলার মুখে পড়েছিলেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কলকাতায়। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। শনিবার বিকেলে শহরের একটি নার্সিংহোমে মারা গেলেন সিভিক ভলেন্টিয়ার বিশ্বজিৎ মাইতি। এদিকে এই ঘটনায় ধৃত দুই দুষ্কৃতীকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাতে। ভিলেজ পুলিশ বিশ্বজিৎ মাইতি ও একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার বাবুসোনা সিং-কে নিয়ে খুলনা গ্রামে রুটিন টহলদারিতে বেরিয়েছিলেন সন্দেশখালি থানার এসআই অরিন্দ হালদার। জানা গিয়েছে, যখন পুলিশকর্মীরা টহল দিচ্ছিলেন, তখন খুলনা গ্রামে মদের আসর বসিয়েছিল কেদার সর্দার ও বিধান সর্দার নামে স্থানীয় দুই দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, পুলিশের গাড়ি দেখামাত্রই গুলি চালাতে শুরু করে তারা। শুরু হয় বোমাবাজিও। গুলিবিদ্ধ হন সন্দেশখালি থানার এসআই অরিন্দম হালদার। গুরুতর আহত হন সিভিক ভলেন্টিয়ার বাবুসোনা সিং ও ভিলেজ পুলিশ বিশ্বজিৎ মাইতিও। বাদ যাননি সন্দেশখালির থানার একজন অস্থায়ী কর্মীও। ঘটনার সময়ে পুলিশের গাড়িতে ছিলেন তিনি। আহত অবস্থায় চারজনকেই উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় খুলনা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বিশ্বজিৎ ও বাবুসোনাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়। শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল দু'জনেরই। শনিবার বিকেলে মারা যান সিভিক ভলেন্টিয়ার বিশ্বজিৎ মাইতি।
এদিকে এই ঘটনার পর অভিযুক্তদের ধরতে ফের সন্দেশখালির খুলনা গ্রামে অভিযানে নামে পুলিশ। শনিবার ভোরের দিকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ধরা পড়ে যায় দুই অভিযুক্ত কেদার সর্দার ও বিধান সর্দার। ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বসিরহাট মহকুমা আদালত। জানা গিয়েছে, কেদার ও বিধান সুন্দরবন এলাকার ত্রাস শেখ শাহাজানের শাগরেদ। এরা প্রত্যেকেই আবার শাসকদলের ঘনিষ্ট বলে অভিযোগ। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের বর্তমান শাসকদলের ছত্রছায়ায় চলে আসে একদা সিপিএম ঘনিষ্ট শাহাজাহান। খুলনা গ্রামে তাঁর হয়েই কাজ করত কেদার ও বিধান।