কলাপাতার মাস্ক পরে অবস্থায় রাস্তায় বেরোল প্রৌঢ়। যা দেখে কার্যত চমকাল জীবনতলা থানার পুলিশ, ইতিমধ্যেই এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
কলাপাতার মাস্ক (Banana Leaf Mask) পরে অবস্থায় রাস্তায় বেরোলেন এক প্রৌঢ়। রাজ্যে মাস্ক না পরার অপরাধে একের পর এক আটক চলছে। মাস্ক ছাড়া যারা রাস্তায় বেরচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থাও নিচ্ছে পুলিশ। এহেন ভয়াবহ কোভিড পরিস্থিতিতে অভিনব কলাপাতার অভিনব মাস্ক পরে বাইরে বেরোলেন এক ব্যক্তি। যা দেখে কার্যত চমকাল জীবনতলা থানার পুলিশ ( Jibantala Police Station)। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral Story)।
জীবনতলা থানা এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে করোনা সংক্রমণ লাগাতার বেড়ে চলেছে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের হাত থেকে বাঁচতে তাই নতুন করে বিধিনিষেধ কড়া করেছে প্রশাসন। বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় বাজার বন্ধ করে যেমন সংক্রমণকে প্রতিহত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তেমনি রাস্তাঘাটে বেরোলে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। মাস্ক ছাড়া যারা রাস্তায় বেরচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থাও নিচ্ছে পুলিশ। তাই পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে অভিনব মাস্ক পড়ে রাস্তায় বেরলেন এক প্রৌঢ়। কলাপাতা দিয়ে তৈরি মাস্ক দেখে হতবাক পুলিশকর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিন ২৪ পরগনার জীবনতলা বাজার এলাকায়।
বৃহস্পতিবার সকালে জীবনতলা থানার পুলিশ বাজার এলাকায় মাস্কহীনদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছিলেন। গত কয়েকদিনে এই এলাকায় লাগাতার সংক্রমণ বাড়লেও এলাকার মানুষের মাস্কে অনীহা ছিল। তাই বাধ্য হয়েই জীবনতলা থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় বিধায়ক শওকাত মোল্লা গত মঙ্গলবার বাজার এলাকার মানুষকে সচেতন করেন, তাঁদেরকে মাস্ক বিতরণ করেন। এলাকার সকলেই যাতে রাস্তাঘাটে বেরোলে মাস্ক পড়েন সে কারণে গত তিনদিন ধরে লাগাতার অভিযান শুরু করেছে জীবনতলা থানার পুলিশও। প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ জনকে মাস্ক না পড়ার অপরাধে গ্রেফতারও করছে পুলিশ।
এদিনও পুলিশ জীবনতলা বাজার এলাকায় অভিযান চালাচ্ছিল। ওসি সমরেশ ঘোষ নিজেই ছিলেন অভিযানে। সেই সময় স্থানীয় নয়ের ঘেরি এলাকার নাসিম শেখ সাইকেলে চেপে বাজারে আসছিলেন। কিন্তু মাস্ক পড়ে ঘর থেকে বেরতে ভূলে গিয়েছিলেন। এদিকে রাস্তার আশপাশে মাস্কের দোকানও পাননি। তাই পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে রাস্তার পাশে থাকা কলাগাছ থেকে পাতা ছিঁড়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে মাস্ক তৈরি করে পড়ে বাজারে আসেন। তাঁর সেই মাস্ক দেখেই কার্যত বাঁকরুদ্ধ হয়ে পড়েন পুলিশ কর্তারা। শেষ পর্যন্ত পুলিশের উদ্যোগে তাঁকে মাস্ক কিনে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই তাঁর সেই কলাপাতার মাস্কের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট ভাইরাল হয়েছে।