পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্যের জন্য রাজ্যে একটি নতুন দফতর তৈরির দাবি তুললেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। এই মর্মে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি লেখেন তিনি। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের যে সমস্যা হয়েছিল সেকথাও তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন- লকডাউনের নিয়ম কিছুটা শিথিল রাজ্যে, একনজরে মমতার ১৩টি ঘোষণা
চিঠিতে অধীর লেখেন, "রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। আগে ভিন রাজ্য থেকে বহু মানুষ পশ্চিমবঙ্গে কাজের সন্ধানে আসতেন। মূলত কলকাতায় এসে কাজ করতেন তাঁরা। কিন্তু, এখন সেই ছবিটা বদলে গিয়েছে। এখন কাজের খোঁজে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বহু মানুষ দেশের অন্য শহরে যান। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে তাঁরা যেভাবে সমস্যায় পড়েছিলেন সেকথা আমরা সবাই জানি। এছাড়া প্রাচ্যের দেশগুলিতে গিয়েও কাজ করেন বহু বাঙালি। আর সেখানে এজেন্টের দ্বারা অনেক সময় তাঁদের প্রতারিত হতে হয়। সেখানে বহু বাঙালি সমস্যায় পড়েন। আর সেখানে ভারতীয় দূতাবাসও তেমন একটা সাহায্য করতে পারে না।"
পরিযায়ী শ্রমিকদের এই কষ্টের কথা উল্লেখ করার পর অধীর লেখেন, "আর সেই কারণে এই বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের দেশের মধ্যে ও বাইরে সাহায্যের জন্য একটি নতুন দফতর তৈরি করার অনুরোধ করছি।" শুধুমাত্র বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করবে এই দফতর।
আরও পড়ুন- 'one nation one ration card' দ্রুত চালু হবে রাজ্যে, তেমনই ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রী মমতার
দেশে করোনা আছড়ে পড়ার পরই সমস্যায় পড়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। সে সময় করোনায় সংক্রমণে রাশ টানতে জারি হয়েছিল লকডাউন। ওই পরিস্থিতিতে কাজ হারিয়ে ভিন রাজ্যে আটকে পড়েছিলেন তাঁরা। বাড়ি ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে কেউ পায়ে হেঁটেই দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কেউ আবার সাইকেলে করে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। এভাবে অনেক কষ্ট করে গন্তব্যে পৌঁছে ছিলেন অনেকেই। আবার অনেকেই গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই প্রাণ হারিয়েছেন। তারপর সরকারের তরফে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়িতে ফেরার জন্য শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। তারপর কিছুটা হলেও বদলেছিল পরিস্থিতি। আর যাতে ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্যই এবার পরিযায়ীদের জন্য আলাদা দফতরের দাবি জানালেন অধীর।