আমফানের তাণ্ডব চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত, স্থলভাগে আছড়ে পড়বে বুধবার ৪টে থেকে ৬টার মধ্যে

বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল
দীর্ঘ সময় জুড়েই তাণ্ডব চালাতে পারে আমফান
জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর
নদিয়া ও মুর্শিদাবাদেও প্রভাব ফেলবে আমফান

Asianet News Bangla | Published : May 20, 2020 9:34 AM IST

বুধবার বিকেল ৪টে থেকে ৬টার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে বাংলাদেশের হাতিলা দ্বীপের মধ্যে আছড়ে পড়বে সুপার সাইক্লোন আমফান। কিন্তু মঙ্গলবার রাত থেকেই বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায় দফায় দফায় বৃষ্টি শুরু হয়েগিয়েছিল। বুধবার সকাল থেকে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে শুরু হয় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি।  আমফান উপকূলের দিকে যত এগিয়ে আসে ততই ঝড় আর বৃষ্টির দাপট বাড়তে থাকে।  উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে শুরু হয়ে যায় তীব্র জলোচ্ছাস। কিন্তু এখানেই রেহাই মিলবে না। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতি সকাল পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় তার তীব্রতা বজায় রাখবে। 

বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত আমফানের দাপট চলবে। আর্থাৎ আগামিকাল সকাল পর্যন্ত রেহাই নেই পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকেই এই ঘূর্ণিঝড় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। আমফানের প্রভাবে পড়তে শুরু করেছে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর কলকাতা , হাওড়া ও হুগলিতে। কিন্তু এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নদিয়া মুর্শিদাবাদসহ গাঙ্গেয় উপত্যকায় ৭০-৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। কোথাও কোথাও ঝড়ের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। বৃহস্পতিবারও গাঙ্গেয় উপত্যকায় হালকা থেকে মাঝারি কোথাও আবার অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। 

আমফানের কারণে ঢেউ উঠতে পারে ৫ মিটার, আতঙ্কের প্রহর গুণছেন উপকূলবর্তী মানুষ ...

'আমফান'হ্যারিকেন ঝড়ের পঞ্চম পর্যায়ের সমতুল, ঘনীভূত মেঘ প্রবল শীতল বলে জানাল নাসা ..

আমফানের সরাসরি প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও বাংলাদেশে। পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্রের গত  ২০ বছরে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া সবথেকে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় এটি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বিশাখাপত্তনম থেকে সমুদ্রের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে নৌবাহিনীও। কারণ উপকূলবর্তী এলাকায় আমফানের প্রভাবে ঢেউ-এর উচ্চ ৪-৫ মিটার হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী নিচু এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্থানীয়দের। 

হারিয়ে যাওয়ার ৩০ বছর পরে মায়ের সঙ্গে দেখা হল ছেলের, এমনই অবাককাণ্ড চিনে ...
 

Share this article
click me!