'আমফান'হ্যারিকেন ঝড়ের পঞ্চম পর্যায়ের সমতুল, ঘনীভূত মেঘ প্রবল শীতল বলে জানাল নাসা

প্রবল গতিতেই পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে বাংলাদেশের হাইতি উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে আমফান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা জানিয়েছে এই ঝড় হ্যারিকেন ঝড়ের পঞ্চম পর্যায়ের সমতুল। স্যাটেলাইট ইমেজের মাধ্যমে পাওয়া বাষ্প তথ্য  তুলে ধরে নাসা দেখিয়ে দিয়েছে যত স্থলভাগের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ততই শক্তি সঞ্চয় করছে। প্রাথমিকভাবে নাসার পর্যবেক্ষণ এটি যখন আছড়ে পড়বে তখন এটি তৃতীয় পর্যায়ের হ্যারিকেনের চেহারা নেবে।ঘণ্টায়  হাওয়ার গতিবেগ থাকবে সবথেকে কমকরে হলেও ১৫৫-১৬০ কিলোমিটার। প্রাথমিকভাবে নাসা মনে করছে ১৮৫ কিলোমিটার বেগেই এটি স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিরোধের জের, শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের নিয়মই বদলে দিল কেন্দ্র ..
স্থলভাগে আছড়ে পরার পরে প্রবল বৃষ্টি হবে বলেও জানিয়েছে নাসা। সাইক্লোনের কারণে ঘনীভূত যে মেঘ রয়েছে তাতে তার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ৫৬.৬ ডিগ্রি। নাসার ব্যখ্যা অনুযায়ী মেঘ যত শীতল হবে বৃষ্টির পরিমাণ ততই বাড়বে। কারণ শীতল মেঘে জলধারণের ক্ষমতা অনেক বেশি।  মৌসমভবনও জানিয়েছে বাংলা ও ওড়িশা উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মঙ্গলবার রাত থেকে একাধিক জায়গায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। 

নাসার দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী গত শনিবার অর্থাৎ ১৬ মে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এই ঝড় তৈরি হয়েছিল। ক্রান্তীয়  এই ঝড়ের প্রাথমিক নামকরণ হয়েছিল ০১বি। কিন্তু রাতারাতি শক্তি বাড়িয়ে এই হ্যারিকেনের আকার নেয় আমফান। গত দুবছর বর্ষার সূচনার আগে  বঙ্গোপসাগরে এই জাতীয় দুটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হল। আগেরটা ছিল ফণী। যেটি  ওড়িশায় আছড়ে পড়েছিল। তবে এই ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই বেশি হবে বলে মনে করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওড়িশাগামী সমস্ত ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যান চলাচলের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে দুপুরের পর থেকে স্থানীয়দের বাড়ির বাইরে বার না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। উপকূলবর্তী মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।