রাজ্যের লোকাল ট্রেনের কামড়ায় চড়িয়ে নিয়ে যাওয় হল আস্ত ঘোড়া। যা নিয়ে ভিড় ট্রেনে রীতিমত চটলেন যাত্রীরা। আার অনেকেই হেসেই কুটোপাটি। কিচিক কিচিক করে সেই ছবি তুললেন স্মার্ট ফোনে। মুহূর্তের মধ্যেই সেই ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
রাজ্যের লোকাল ট্রেনের কামড়ায় চড়িয়ে নিয়ে যাওয় হল আস্ত ঘোড়া। এমনই অভিযোগ করলেন শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার যাত্রী। ব্যস্ত সময়ে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ডায়মন্ড হারবার লোকালে একেবারে আস্ত ঘোড়াকেই ট্রেনে সফর করানো হল। যা নিয়ে ভিড় ট্রেনে রীতিমত চটলেন যাত্রীরা। আার অনেকেই হেসেই কুটোপাটি। কিচিক কিচিক করে সেই ছবি তুললেন স্মার্ট ফোনে। মুহূর্তের মধ্যেই সেই ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে যাকে ঘিরে এত ঘটনার ঘটনঘটা সেই অশ্ব মেধ ঘোড়া বাবাজীবন হয়তো আদৌ জাজেন না, যে তিনি এই মুহূর্তে রাতারাতি লাইম লাইটে।
যদিও কোন ট্রেনে প্রকৃত ওই ঘোড়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ছবি দেখেছে, কিন্তু কোন লোকাল ট্রেনে, এইনিয়ে নিশ্চিত নয় রেলও। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবি অনুয়ায়ী ঘোড়াটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ডায়মন্ড হারবার লোকালে। খুব সম্ভবত গাড়ির নাম্বার ৩৪৮৩৪৮ শিয়ালদহ -ডায়মন্ডহার লোকাল ছিল ওটা। যদিও এমন ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তদন্তে নেমেছে রেল। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, 'ট্রেনে করে ঘোড়া নিয়ে যাওয়ার ছবি আমরাও পেয়েছি। কোন ট্রেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, কোনও স্টেশনে যাত্রী উঠেছেন এবং কোন স্টেশনে নেমেছেন তা এখনও জানা যায়নি। এর জন্য তদন্ত চলছে।'
অনেকযাত্রী তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যে তাঁরা নিজেরাই ট্রেনে জায়গা পাননা ঠিক মতো, তাহলে কী করে ওই ঘোড়াটিকে ট্রেনে উঠতে দেওয়া হল। আরপিএফ-র কী করে চোখ এড়িয়ে এই ঘটনাটি ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রেল যাত্রীরা। আসলে ঘোড়া যে অপছন্দ করেন বাঙালিরা, তেমনটা নয়। দিব্য গড়ের মাঠ গেলে ঘোড়ার পিঠে চড়তে ভালোই লাগে। কাপল হলে তো কথাই নেই। তারপর নেমে উঠে কী বূল করেছে, কোমরটা নাহলে ঠিকই থাকত , ইত্যাদি বলা শুরু হয়। তবে এক্ষেত্রে সেই ঘোড়ার পিঠে চড়ার সৌভাগ্যটা মেলেনি। একে গরমে মানুষের শরীর থেকে ঘামের গন্ধ, আর তার উপর ঘোড়া, সব মিলিয়ে মেজাজ সপ্তম ডিগ্রিতে আর না উঠে পারে।
প্রসঙ্গত, এমনই মজার ঘটনা ঘটেছিল ক্যালিফোর্ণিয়াতেও। টাট্টু ঘোড়া নিয়ে ট্রেনে উঠতেই দারুন খুশি ক্যালিফোর্নিয়ার ট্রেন যাত্রীরা। বিকেলের ট্রেনে হঠাৎ চড়তে গিয়েই , দেখা মেলে সেই ছোট্ট টাট্টু ঘোড়াটির সঙ্গে। ছোট্ট টাট্টু ঘোড়াটিও আর দশজন সাধারন যাত্রীর মতই একজন সওয়ারি। সে যাচ্ছিল ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ড স্টেশন থেকে সান ফ্রান্সিসকো। সফরে যেতে স্বাভাবিকভাবেই সহযাত্রীদের মন জয় করেছে ঘোড়াটি। সবাই তাকে ভালবেসে আদর করে।
আরও পড়ুন, ভারতের প্রথম আন্ডার ওয়াটার মেট্রো টানেল কলকাতায়, ২০২৩-র মধ্যে জলের নীচ দিয়ে পরিষেবা শুরু
আসলে এই ছোট্ট টাট্টু ঘোড়াটি সার্ভিস অ্যানিম্যাল। আর সেই জন্য়ই তাকে 'বে এরিয়া র্যাপিড ট্রানজিট' ট্রেনে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। জানা গিয়েছে, এই টাট্টু ঘোড়াটির পোশাকি নাম 'সুইটস'। রকরিজ স্টেশন থেকেই সে একটি ট্রেনে ওঠে। ঘোড়াটির মালিক, স্টেশন ইনচার্জকে বৈধ কাগজপত্র দেখিয়ে জানান, 'সুইটস' আসলে এক সার্ভিস অ্যানিম্যাল। তাদের নিয়ম অনুযায়ী পরিষেবার দেওয়ার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত যে কোনও প্রাণীকে ট্রেনে নিয়ে ওঠা যাবে। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার ট্রেন যাত্রীরা ভারী খুশি। তবে রাজ্যের লোকাল ট্রেনে এসি আর এমন অনুমতি থাকলে মেজাজ হারাত কিনা সেকথা না হয় অজানাই থাক।