সংক্ষিপ্ত
কলকাতার উপকণ্ঠে সল্টলেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত হেনস্তার অভিযোগ তুলল অ্যামিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র। ইতিমধ্য়েই গৌরব সাহা এবং শুভ বোস নামের দুই ছাত্র ওই হেনস্তার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছে।
কলকাতার উপকণ্ঠে সল্টলেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত হেনস্তার অভিযোগ তুলল অ্যামিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র। ইতিমধ্য়েই গৌরব সাহা এবং শুভ বোস নামের দুই ছাত্র ওই হেনস্তার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছে। উল্লেখ্য, শহরে এখন প্রায়শই ট্রাফিক পুলিশের একাধিক অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। অনেকে কমেন্ট বক্সে প্রতিবাদও করেন। তবে এবারটায় বোধহয়, সেই মাত্রাও ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় সল্টলেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে 'কারণ ছাড়াই' তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই দুই ছাত্র। তবে এই ঘটনা বা ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করে দেখেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা।
'বাবা যখন এই কলেজে পড়াচ্ছে, তার মানে নিশ্চয়ই অনেক টাকা। ৫০০ টাকা দিয়ে তোমায় পাঠায় না। আমি জানি তুমি আরও দিতে পারবে। ১০০০ টাকার নিচে ছাড়া যাবে না।' গাড়ি আটকে এমনই কথা বলেছেন বিধানগর কমিশনারেটের অধীনে পুলিশের কর্তব্যরত ওই কর্মী বলে জানিয়েছেন গৌরব। শহরের বুকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত হেনস্তার অভিযোগ তুলল অ্য়ামিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র গৌরব সাহা এবং শুভ বোস। গৌরব ফেসবুকে জানিয়েছে, বেলা তখন ১১ টা ৪০ বাজে। সকালের দুটি ক্লাস শেষ করে , তারা তখন নিরিবিলিভাবে সময় কাটাচ্ছে গাড়িতে। এমনই সময় আচমকা একটি পুলিশ ভ্যান আসে। ঘটনার মোড় ঘোরে এরপরেই।
আরও পড়ুন, আজ ফের পেট্রোলের দাম বেড়ে ১১৫ পার কলকাতায়, সারা দেশে কী দর জ্বালানীর
আরও পড়ুন, ভারতের প্রথম আন্ডার ওয়াটার মেট্রো টানেল কলকাতায়, ২০২৩-র মধ্যে জলের নীচ দিয়ে পরিষেবা শুরু
গৌরব জানিয়েছে, 'ওই ভ্যান থেকে নেমেই পুলিশ আমাদের গাড়ির বাইরে বেরোতো বলে। এদিকে কোনওরকম সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই , তারা আমাদের গাড়ির তল্লাশি চালায়। এবং কোনও মাদকদ্রব্য তল্লাশিতে উদ্ধার হয়নি। এখানেই শেষ নয। এরপরেই আমাদের গাড়ির কাগজ-পত্র দেখাতে বলা হয়। আমার গাড়ির সব কাগজ পত্রই দেখাই। কিন্তু বাকি রয়ে যায় শুধু দূষণের কাগজ।' এরপরেই ওই পুলিশ কর্মী বলেন, 'জানো তো পলিউশনের জন্য ১০ হাজার টাকার চালান। আমরা জানাই যে ওই কাগজটাই আমরা করাতে যাচ্ছিলাম। কোনওভাবেই যেনও তিনি ওই চালান না কাটেন বলে অনুরোধ করি। এরপরেই আসে দফা-রফার মুহূর্ত বলে অভিযোগ। ঠিক আছে তাহলে কী করবে, কিছু দিয়ে ছেড়ে দিই বলেন ওই পুলিশ কর্মী, জানিয়েছেন গৌরব। তবে এখানেই ঘটনা শেষ হয়নি।
আরও পড়ুন, কেমন আছেন কেষ্ট, অনুব্রত-র খোঁজে সোজা এসএসকেম-এ সিবিআই
ওই পুলিশ কর্মীকে ৫০০ টাকা দেওয়ার কথা বললে সাফ জানিয়ে দেয়, ১ হাজারের নিচে ছাড়া যাবে না। তবে বদলে যে যুক্তিটা দিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ, তাতে বেশ আঁতকেই উঠেছে এই দুই পড়ুয়া। 'বাবা যখন এই কলেজে পড়াচ্ছে, তার মানে নিশ্চয়ই অনেক টাকা। ৫০০ টাকা দিয়ে তোমায় পাঠায় না। আমি জানি তুমি আরও দিতে পারবে। ১০০০ টাকার নিচে ছাড়া যাবে না।' এমনটাই ওই পুলিশ কর্মী বলেছেন বলে অভিযোগ। তবে শহরে এই ঘটনার পর শিউরে উঠেছেন তাঁরা। কলকাতার রাস্তায় বেরিয়ে আদৌ কতটা নিরাপদে থাকবেন শহরবাসী, এনিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই দুই পড়ুয়া।