'পাঁচ তারা হোটেলের বাসমতি চালের' জবাব 'খাটিয়া', অমিত শাহ-এর বাঁকুড়া সফরকে বিদ্রুপ মমতার

বাঁকুড়া সফরে গিয়ে অমিত শাহ-কে তীব্র কটক্ষ মমতার

এক আদিবাসী পরিবারহে মধ্যাহ্নভোজন করেছিলেন শাহ

তা একেবারেই লোক দেখানো বলে অভিযোগ করলেন মমতা

বীরসা মুন্ডা প্রসঙ্গে আকরমণ শানাতেও দ্বিধা করলেন না

Asianet News Bangla | Published : Nov 24, 2020 8:29 AM IST / Updated: Nov 24 2020, 02:01 PM IST

গত ৫ নভেম্বর বাঁকুড়া সফরে এসে চতুরডিহি গ্রামে বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর তাই নিয়ে সোমবার বাঁকুড়ার মাটিতে দাঁড়িয়েই কটাক্ষ করলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ লোক দেখাতেই ওই আদিবাসী পরিবারের বাড়িতে এসে 'পাঁচ তারা হোটেলের বাসমতি চাল' আনিয়ে খেয়েছেন অমিত শাহ। তিনি অমন 'লোক দেখানো' কাজ করেন না বলে দাবি করেছেন মমতা।

বাঁকুড়ার খাতড়ায় এক সরকারি অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, খাতড়ায় আসার পথে তিনিও এক তফসিলি গ্রামে গিয়েছিলেন। তাঁদের খাটিয়াতে বসেই সবার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মতো 'বাড়িতে রং করে, স্যানিটাইজ করে, টাকা দিয়ে' লোক দেখাতে বসেননি। চরম ব্যাঙ্গের সুরে মমতা বলেন, 'তফসিলি বোনেরা ছাড়াচ্ছে ধনেপাতা, আর উনি খাচ্ছেন পোস্তর বড়া।'

আরও পড়ুন - 'তৈরি আছে রাজ্য সরকার', বৈঠকের আগেই করোনা টিকা নিয়ে মোদীর বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মমতা

আরও পড়ুন - ৭ দিন পর ফের ৪০ হাজারের নিচে দৈনিক সংক্রমণ, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আজ ৮ মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি মোদী

আরও পড়ুন - প্রয়াত প্রাক্তন বিচারপতি অমিতাভ লালা, শিরোনামে এসেছিলেন 'বাংলা ছেড়ে পালা' স্লোগানে

বাঁকুড়া সফরে এসে বিব্রতও হতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। বীরসা মুণ্ডার মূর্তি ভেবে ভুল করে স্থানীয় এক শিকারির মূর্তিতে মাল্যদান করেছিলেন তিনি। তাঁর সেই ভুল নিয়েও বিদ্রুপ করতে ছাড়েননি মুখ্যমনত্রী। মমতা বলেন বিজেপি যতই এটাকে ভুল বলুক, এটা আসলে আদিবাসীদের অপমান করা। বীরসা মুন্ডাকে অপমান করা। এই প্রসঙ্গে লোকসভা ভোটের আগে বিদ্যাসাগর কলেজে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি। বলেন, 'তুমি বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙবে, আবার বীরসা মুন্ডার বলে যে কোনও মূর্তিতে মালা দেবে, এটা অপমান।' এখানেই থামেননি মমতা, ওই অনুষ্ঠান থেকে তিনি বীরসা মুন্ডার জন্মদিনে রাজ্যে ছুটিও ঘোষণা করেন।

Share this article
click me!