গতকালের বিক্ষোভের পর থেকে আমতা থানায় যাওয়ার রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেয় আমতা থানার পুলিশ। কিন্তু ছাত্র যুবদের মিছিল ওই ব্যারিকেড ভেঙে থানার দিকে এগোতে থাকে।
আনিস হত্যাকাণ্ডে ক্রমেই চাপ বাড়ছে রাজ্য সরকারের উপর। এদিকে আনিস হত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যব্যাপী জোরদার আন্দোলনের রাস্তায় নেমেছে বাম ছাত্র-যুব সংগঠন এসএফআই-ডিওয়াইএফআই (Left student-youth organization SFI-DYFI)। দুদিন আগেই ডাকা হয়েছিল বনধ। এরমধ্যেই এবার ছাত্রনেতা আনিসের মৃত্যুতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আমতা থানা ঘেরাও অভিযানের ডাক দেয় বাম ছাত্র-য়ুবরা। শুক্রবার বিকেলে সেখানেই পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে থানায় প্রবেশের চেষ্টা (Attempt to break the police barricade and enter the police station) করেন বিক্ষোভকারীরা। তা নিয়েই বেঁধে যায় ধু্ন্ধুমার। এদিকে ছাত্রদের আটকাতে আগে থেকেই বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করে রাখে পুলিশ। কিন্তু তাতেও বিশেষ কাজ হয়না। মিছিল থানা অবধি এগোতেই থানা লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খায় আমতা থানার গোটা পুলিশ বাহিনী।
গোটা পরিস্থিতি দেখে একথা বলাই যায় আজকে আমতা থানাতে আনিসের হত্যার প্রতিবাদে আমতা থানায় জঙ্গি কায়দায় বিক্ষোভ জানায় বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠনের সদস্যরা। অবিলম্বে আনিশের হত্যায় যুক্ত দোষীদের গ্রেফতার ও তাদের শাস্তির দাবি জানায় তারা। এদিকে গতকালের বিক্ষোভের পর থেকে আমতা থানায় যাওয়ার রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেয় আমতা থানার পুলিশ। কিন্তু ছাত্র যুবদের মিছিল ওই ব্যারিকেড ভেঙে থানার দিকে এগোতে থাকে। শুরু পুলিশ এঁটে উঠতে না পারলেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। দুই পুলিশ এই ঘটনায় গুরুতর ভাবে আঘাত পেয়েছেন বলেো জানা যাচ্ছে। অহত হয়েছে বিক্ষোভকারী ছাত্ররাও।
আরও পড়ুন- পুরভোটের আবহে তপ্ত বাংলার মাটি, শেষ দিনের প্রচারে বড় চমক একাধিক জেলায়
এদিকে এদিন ছাত্রদের একটি বিশাল মিছিল থানার সামনে থেকে এগোনোর চেষ্টা করলে ফের বড় ব্যারিকেড দিয়ে দেয় পুলিশ। রাস্তায় বাধা পেয়ে বিক্ষোভকারীরা ওখানেই বসে পড়ে। ব্যারিকেডের উপরে উঠে দাঁড়িয়ে পুলিশের প্রতি স্লোগান দেয়। পুলিশকে শাসকদলের দলদাস বলেও অভিহিত করে বাম ছাত্র-যুবরা। অন্যদিকে আজই আনিসের বাড়িতে যান বর্ষীয়ান বামপন্থী নেতা বিমান বসু। তিনি আনিসের পিতা ও পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা করেন। এর পাশাপাশি জেলা বিচারকের উপস্থিতিতে আনিসের মোবাইল নিজেদের হেফাজতে নেন সিটের সদস্যরা। এই মোবাইল কেন্দ্রীয় ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। একইসাথে আদালতের নির্দেশ মতোই টিআই প্যারেডের পরে এদিন জেলা বিচারপতি সালেম খানের গোপন জবানবন্দি নেন। যদিও এই বিষয়ে মুখ খোলেননি আনিসের পরিবারের লোকেরা।