আজ সবাইকে চমকে দিয়ে বিজেপির সঙ্গে দীর্ঘ কয়েক বছরের ইনিংস শেষ করে তৃণমূলের সঙ্গে এক নতুন ইনিংস শুরু করলেন বাবুল সুপ্রিয়। যদিও বাবুলের দলত্যাগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ভবানীপুরে উপনির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা খেল বিজেপি। রীতিমতো সবাইকে চমকে দিলেন বাবুল সুপ্রিয়। শনিবার সবাইকে অবাক করে দিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের বিজেপি সাংসদ। জুলাইয়ের শেষের দিকে রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন বাবুল। তারপর থেকেই তাঁর দলবদলের জল্পনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু, বিজেপি ছেড়ে অন্য কোনও দলে যাবেন না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর আজ সবাইকে চমকে দিয়ে বিজেপির সঙ্গে দীর্ঘ কয়েক বছরের ইনিংস শেষ করে তৃণমূলের সঙ্গে এক নতুন ইনিংস শুরু করলেন। যদিও বাবুলের দলত্যাগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বাবুলের তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "দল ছাড়ার আগে বিজেপিকে জানানো উচিত ছিল। তিনি দল ছাড়ার ফলে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না। তিনি কোনও জননেতা ছিলেন না বা কোনও দক্ষ রাজনৈতিক সংগঠকও ছিলেন না। যাই হোক ব্যক্তিগতভাবে তিনি আমার খুব ভালো বন্ধু।"
আরও পড়ুন- বলেছিলেন রাজনীতি 'ছাড়বেন', হঠাৎ তৃণমূলে কেন, কী বলছেন বাবুল সুপ্রিয়
জুলাই মাসের শেষের দিকে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, রাজনীতিতে না থেকেও মানুষের জন্য কাজ করে যাবেন। কিন্তু, জেপি নাড্ডা ও অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর অবশেষে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না বলে জানান। তবে সাংসদ থাকলেও যাবতীয় সুবিধা নেবেন না জানিয়েছিলেন তিনি। আসলে রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে সমাজসেবার পেশা বেছে নেবেন বলেছিলেন। কিন্তু আদতে তা হল না, সেই রাজনীতির চৌহদ্দির মধ্যেই থাকলেন তিনি। বদলালেন শুধু নিজের রাজনৈতিক পরিচিতি।
আরও পড়ুন- মোদী মন্ত্রিসভার সদস্য থেকে যোগ তৃণমূলে, আড়াই মাসের মধ্যেই 'ভোলবদল' বাবুল সুপ্রিয়র
আরও পড়ুন- 'সবেমাত্র শুরু, এখনও অনেকের আসা বাকি রয়েছে', বাবুলের যোগদান প্রসঙ্গে বললেন অভিষেক
আজ দুপুরের দিকে সবাইকে চমকে দিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন বাবুল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েনের উপস্থিতিতে শনিবার আচমকাই পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন তিনি। যদিও তাঁর দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শুভেন্দু অধিকারী।