সংক্ষিপ্ত
স্বামী জেলবন্দী। কিন্তু এরইমাঝে পরকীয়ায় মেতে ওঠেন তসলিমা। মিঠুন বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় নৃত্যশিল্পী তসলিমা বিবির। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তা গভীরতা পায়, বাড়ি ভাড়া নিয়ে তার লিভ ইন করা শুরু করেন।
নৃত্যশিল্পীকে থুন করার অভিযোগে গ্রেফতার লিভইন পার্টনার। উত্তর ২৪ পরগণার হিঙ্গলগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত মিঠুন বিশ্বাসকে। রবিবার বসিরহাট মহাকুমা আদালতে তোলা হবে তাঁকে। সূত্রের খবর, ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য় আবেদন জানাবে পুলিশ। জানা গিয়েছে, নিহত তসলিমা বিবি পেশায় একজন নৃত্য শিল্পী।বিয়েও হয়েছিল তাঁর। তবে তাঁর স্বামী নানা ধরণের অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এই কারণেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তসলিমার স্বামী জেলবন্দী। অভিযোগ, জেলে থাকাকালীন সে তসলীমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিত।তা নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় থাকতেন তসলিমা। কিন্তু এরইমাঝে পরকীয়ায় মেতে ওঠেন তসলিমা।
মিঠুন বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় নৃত্যশিল্পী তসলিমা বিবির। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তা গভীরতা পায়। তৈরি হয় শারীরিক সম্পর্ক। একসঙ্গে থাকারও পরিকল্পনা করেন তাঁরা। তবে এখনই বিয়ের পরিকল্পনা ছিল না তাঁদের। সেই কারণে দিন দুয়েক আগে বসিরহাটের চাঁপাপুকুরের পঞ্চাননতলায় বাড়ি ভাড়া নেন তাঁরা। সেখানে লিভ ইন করতে শুরু করেন দুইজনে। যদিও বাড়ির মালিকের দাবি, মিঠুন এবং তসলিমা দুজনেই তাঁকে জানান বিয়ে করেছেন। তবে পারিবারিক কিছু আপত্তি থাকায় বাড়িতে থাকতে চান না তাঁরা। তাই ভাড়া বাড়িতে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।
আরও পড়ুন, 'আমাকে বলেছিল, ধর ওকে রেপ করব', হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআই-র কাছে এল ভয়াবহ তথ্য
শনিবার নৃত্যশিল্পী তসলিমা বিবির লিভইন পার্ট মিঠুন বাড়ির মালিকের কাছে যান। তাকে জানান, শৌচাগারে পৌছে গিয়েছেন তসলিমা। তাঁকে কোনও চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্য চায় সে। তড়িঘড়ি করে বাড়ির মালিক দৌড়ে যান। নৃত্যশিল্পীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এরপরে ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশ ওই দেহ উদ্ধার করে। ইতিমধ্য়েই আচমকা উধাও হয়ে যায় মিঠুন। কার্যত পালিয়ে যায় ঘটনাস্থল থেকে মিঠুন। রাতে হিঙ্গলগঞ্জ থেকে মিঠুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন, নাবালিকাকে বাড়িতে ডেকে গোপনাঙ্গ স্পর্শ প্রতিবেশীর, হাঁসখালির পর উত্তাল এবার একাবালপুর
তসলিমা বিবির লিভইন পার্ট মিঠুনের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই পুলিশের মনে দানা বাধে।অভিযোগ নৃত্যশিল্পীকে খুন করেছে সে। যদিও গোটা বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে।এরাজ্যে একাধিক পরকীয় হয়ে খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বর বা স্ত্রী খুনের জন্য দায়ী হয়েছে। তবে যার সঙ্গে পরকীয় তাঁকেই খুন করেছে প্রেমিক,এমন ঘটনা খুব একটা ঘটতে দেখা যায়নি। তবে এই ঘটনায় তসলিমার জেল বন্দি স্বামীরও কোনও যোগাযোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ।