২০১৯-র লোকসভা ভোটে গেরুয়া ঝড়ে তৃণমূল ধুয়ে মুখে সাফ হয়ে গিয়েছে জঙ্গলমহলে। পুরুলিয়ায় তলে তলে শক্তি বাড়াচ্ছে বজরং দলও। যোগদান কয়েকদিনের মধ্যে মোহভঙ্গ হল। তৃণমূল থেকে ফের বজরং দলেই ফিরলেন জনা তিরিশেক কর্মী।
আরও পড়ুন: টিকটক নিয়ে মুখ খুললেন নুসরত জাহান, চিনা অ্য়াপ বন্ধ নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্নও তুললেন
গত লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে বিজেপি সাফল্যে চমকে গিয়েছিলেন অনেকেই। উত্তরবঙ্গের মতোও জঙ্গলমহলেও ধরাশায়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস। পুরুলিয়া লোককেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জেতেন গেরুয়াশিবিরের প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। রাজনৈতিক মহলের মতে, পুরুলিয়ার বিজেপি সাফল্যে নেপথ্যে রয়েছে বজরং দল। পঞ্চায়েত ভোটের জেলার সর্বত্রই জনংযোগের কাজ করছেন দলের কর্মীরা। তারই সুফল মেলে লোকসভা ভোটে। বস্তুত, একসময়ে তৃণমূলের খাসতালুক বলে পরিচিত ছিল যে এলাকা, সেই বলরামপুরে পঞ্চায়েত সমিতিও দখল করে নেয় বিজেপি। পরে অবশ্য নির্বাচিত সদস্যদের দলবদলের কারণে পঞ্চায়েত সমিতিটি হাতছাড়া হয় তাঁদের।
লকডাউনের সময়ে রাজ্যের অন্য জেলার মতো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ ছিল পুরুলিয়াতেও। ছবিটা বদলে গিয়েছে আনলকে পর্বে। করোনা আতঙ্কে মাঝে ফের ঘর গোছাতে শুরু করেছে বিজেপি ও তৃণমূল। পিছিয়ে নেই বজরং দলও। জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে পুরুলিয়ার বলরামপুরে দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দেন বজরং দলের ৩০ জন কর্মীরা। কিন্তু ঘটনা হল, তাঁরা সকলেই আবার ফিরেছেন পুরানো দলেই।
আরও পড়ুন: প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে হামলার মুখে দিলীপ ঘোষ, ভাঙচুর চলল সাংসদের গাড়িতেও
উল্লেখ্য, এই বলরামপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পরপর দু'বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের পুরুলিয়া জেলার সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো। তিনি এখন রাজ্যের মন্ত্রীও বটে। কিন্তু লোকসভা ভোটে নিরিখে বলরামপুরে এগিয়ে বিজেপি। আগামী বছর বিধানসভা ভোটে আগে এলাকা সংগঠন মজবুত করতে মরিয়া তৃণমূল। পাল্টা লড়াই দিতে তৈরি বিজেপি ও বজরং দলও। একে অপরকে একচুলও জমি ছাড়তে নারাজ দুই পক্ষই।