ইভিএম নয়, ব্যালটেই হতে পারে আগামী বছরের পুরসভা নির্বাচন। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে দলীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর যুক্তি, যেহেতু তৃণমূল দেশজুড়ে ব্যালটে ভোট করানোর দাবিতে আন্দোলন শুরু করছে, তাই বাংলা থেকেই তা শুরু করতে চান তিনি।
এ দিনও লোকসভা নির্বাচনে ইভিএমে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সূত্রেই তিনি বৈঠকের শেষ দিকে বলেন, 'আমরা দেশ জুড়ে ব্যালটের নির্বাচনের দাবিতে লড়াইয়ে নেমেছি। চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম। এবারের পুর ভোটও আমরা ব্যালটেই করব।'
পঞ্চায়েত নির্বাচন ব্যালটেই হয়। কিন্তু ২০১৫ সালে পুর নির্বাচন ইভিএমেই হয়েছিল। এবার ব্যালটেই পুরভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার দাবি, লোকসভা নির্বাচনে যে ইভিএমে কারচুপি হয়েছে, ভবিষ্যতে তা প্রমাণিত হবে।
ব্যালটে পুর ভোট করানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, 'ভয়ে চুরির পথেই হাঁটছে তৃণমূল। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেটুকু ভোট হয়েছিল, ছাপ্পা আর রিগিং করে জিতেছিল, পুরভোটেও সেভাবেই জিততে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।'
মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণ বিরোধিতা না করলেও তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিএমও। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'পঞ্চায়েত ভোট যখন ব্যালটে হয়, তখন পুর নির্বাচনও ব্যালটে হতেই পারে। কিন্তু ২০১১, ২০১৪-তে ইভিএম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও সমস্যা হল না যখন, এখন কীসের সমস্যা?'
আগামী বছরই কলকাতা পুরসভা-সহ রাজ্যের কমবেশি একশোটি পুরসভায় নির্বাচন রয়েছে। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে যাকে সেমি ফাইনাল বলা যেতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানিয়ে দিয়েছেন, যে পুরসভাগুলির ইতিমধ্যে মেয়াদ শেষ হয়েছে, সেখানেও আগামী বছর একসঙ্গেই ভোট করানো হবে।