বাগদা সীমান্তে ধর্ষণকাণ্ডে দুই বিএসএফ জওয়ানকে আরও সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বনগাঁ মহকুমা আদালত। এর আগেই সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাগদা সীমান্তে ধর্ষণকাণ্ডে দুই বিএসএফ জওয়ানকে আরও সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বনগাঁ মহকুমা আদালত। এর আগেই সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার শেষ হয় মেয়াদ । আর এদিনই দুই বিএসএফ জওয়ানকে পেশ করা হয় আদালতে।
বাগদা সীমান্তের বিএসএফ এর ৬৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের ২ জওয়ানকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল বাগদা থানা পুলিশ । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃত দুই জাওয়ানের নাম আলতাফ হোসেন ও এ এস আই এস পি চেরো । সরকারি আইনজীবী জওয়ানদের তরফ থেকে জামিনের আবেদন জানান হয়েছিল। কিন্তু এদিন আদালত তা খারিজ করে দেয়।
গত ২৫ অগাস্ট বাগদায় ২৩ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠছে বিএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর কমান্ডো পদমর্যাদার এক আধিকারিকের নেতৃত্বে বিএসএফ-এর এক কনস্টেবল তরুণীকে ধর্ষণ করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। অভিযোগ মহিলার শিশু সন্তানের সামনেই কাঁরোলের ঝোপের মধ্যে টেনে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন চালায় বিএসএফ জওয়ানরা। শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে দুই বিএসএফ কর্মীকে। শনিবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে দুজনতে পেশ করা হয়েছিল।
বাগদা ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। এই ঘটনার জন্য রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। বলেছেন বিএসএফ-এর অতিরিক্ত ক্ষমতাই এর জন্য দায়ি। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে। যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখনও কেন্দ্রীয় সরকার বা বিজেপি কোনও মন্তব্য করেনি।
সম্প্রতি সীমান্তবর্তী তিন রাজ্যে বিএসএফ-র ক্ষমতা আর কাজের পরিধি ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িতে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু ক্ষমতাও। কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ ভাল চোখে নেয়নি রাজ্যের তৃণমূল সরকার। প্রথম থেকেই এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে।
'বিএসএফ আগে বডার সিকিউরিটি ফোর্স ছিল এখন বিজেপির ফোর্স', বাগদা ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ তৃণমূলের
'কিছুই করতে পারবি না তোর কাপড় খুলে দেবে', সৌগতর 'জুতো পেটা' মন্তব্যর পাল্টা দিলীপের বক্তব্য