পশ্চিমবঙ্গের মাছ ও খাবারের ব্যবসায়ীরা দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের কাছে ২ হাজার টন ইলিশ চেয়ে পাঠিয়েছেন।
বাঙালির কাছে পুজো মানেই জমিয়ে খাওয়া দাওয়া, নতুন জামা-কাপর, আড্ডা আর ঠাকুর দেখা। কিন্তু পুজোর দিনগুলিতে রসনা তৃপ্তির জন্য যদি পাতে পড়ে পদ্মার ইলিশ! তাহলে তো কথাই নেই। ভোজন রসিক বাঙালির জন্য তেমনই ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মাছ ব্যবসায়ীরা।
পশ্চিমবঙ্গের মাছ ও খাবারের ব্যবসায়ীরা দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের কাছে ২ হাজার টন ইলিশ চেয়ে পাঠিয়েছেন। তাঁরা আবেদন জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে, পুজো উপলক্ষ্যে এই রাজ্যে যেন পদ্মার ইলিশ পাঠানোর ছাড়পত্র দেওয়া হয়। বাংলাদেশ সরকার যদি ছাড়পত্র দেয় তাহলে তো কথাই নেই। জমে যাবে পুজোর ভোট। ইলিশ ভাপা থেকে শুরু করে ইলিশ ভাজা, দই ইলিশ, পাতুড়ি- কবজি ডুবিয়ে রসনা তৃপ্ত করবে মধ্যবিত্ত বাঙালি।
ব্যবসায়ী সূত্রের খবর গত বছর বাংলাদেশ সরকার এই রাজ্যে ৪ হাজার ৬০০ টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু নানা কারণে বাংলাদেশ থেকে এসেছিল মাত্র ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ। ব্যবাসায়ীরা জানিয়েছেন এই বছর বাংলাদেশ সরকারের কাছে তাঁরা ২ হাজার টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন চেয়েছেন। আমদানির সময়সীমা ১ মাস থেকে বাড়িয়ে ৪৫ দিন করার কথাও বলেছেন। ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার ভারতে ইলিশ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তারপর থেকে রীতিমত মেপে মেপে ইলিশ রফতানি করা হয়। এই বছর বাংলাদেশের সরকারের কাছে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ারও আর্জি জানিয়েছেন তারা।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে ইলিস উৎপাদনের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। নদীর দুষণ-এর জন্য সবথেকে বেশি দায়ি। তাই এই রাজ্যে বর্ষাকালে ইলিশের দাম থেকে উর্ধ্বমুখী। আম-বাঙালির পাতে ইলিশ ব্রাত্য হয়ে পড়েছে। আর সেই কারণেই পদ্মার ইলিশের চাহিদা আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে গেছে। চাহিদা বেশি থাকায় আর আমদানী কম থাকায় এই রাজ্যে কিছুতেই ইলিশের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে আসে না। তাই হাসিনা সরকার যদি ব্যবসায়ীদের আবেদনে মঞ্জুরি দেন তাহলে পুজোর পাতে পড়তেই পারেই পদ্মার ইলিশ।
গলদা চিংড়ি খেয়ে খোসা আর ফেলবেন না, সেটা থেকেই তৈরি হবে শক্তিসঞ্চয়ের ব্যাটারি
নিজের একরাশ ঘন কালো চুল দিয়ে দিলেন ক্যান্সার আক্রান্তদের জন্য, নজির নবম শ্রেণীর ছাত্রীর
পুরুষমানুষের চোখের এই জায়গায় তিল থাকলে সাবধান, ভুলেও সম্পর্কে জড়াবেন না