মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানান আসন্ন দুর্গপুজোয় গোটা বিশ্ববাসীকেই চমকে দেবে বাংলা। আর তার তোড়জোড় শুরু করার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিতে বলেন তিনি।
গত বছরেই ইউনেস্কোর তালিকায় স্থান পেয়েছে বাঙালির প্রধান উৎসব দুর্গাপুজো। ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে দুর্গাপুজোকে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশজুড়েই। এদিকে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল,বলিভিয়ার মতো বিশ্বের মাত্র ৬ দেশের উৎসব এখনও পর্যন্ত এইব বিশাল স্বীকৃতি পেয়েছে। এবার ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতিকে সাদরে গ্রহণ করার পাশাপাশি তাদের পাল্টা ধন্যবাদ জানাতে বড় ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)। বুধবার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে (Netaji Indoor Stadium) দলের সাংগঠনিক বৈঠকের পর বৃহঃষ্পতিবার সেখানেই প্রশাসনিক বৈঠকে বসেন মমতা (Mamata sat in the administrative meeting)। সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানান আসন্ন দুর্গপুজোয় গোটা বিশ্ববাসীকেই চমকে দেবে বাংলা (Bengal will surprise the whole world in Durgapujo)। আর তার তোড়জোড় শুরু করার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিতে বলেন তিনি।
এদিন প্রতিটা জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, " ১ সেপ্টেম্বর একটা প্রোগ্রাম নাও। ওই দিন বেলা ১টার সময় রাজ্যের সমস্ত পুজো ক্লাব মিলে করা হবে বিশেষ অনুষ্ঠান।" এর জন্য কলকাতার সমস্ত পুজো ক্লাবে জানানো হবে আমন্ত্রণ। এর জন্য রাজ্য সরকারের দুর্গাপুজোর দায়িত্বে থাকা তদারকি কমিটি বিশেষ দায়িত্ব নেবে বলে জানান মমতা। পাশাপাশি ডিজি পুলিশকে জেলার সমস্ত ক্লাবকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই মমতা বলেন, প্রতি জেলায় জেলায় মানবাধিকার ধর্নার মতো করে তারা ইউনিষ্কোর সিদ্ধান্তকে সলিডারিটি দেখাবে বেলা ১টায়। লক্ষ্মী ভাণ্ডারের মেয়েরা শাঁখ বাজাবে, সাড়া বাংলাজুড়ে উলু ধ্বনি দেওয়া হবে। কেউ দোয়া করবে, কেউ প্রে করবে যার যার ধর্মীয় রীতি মেনে।"
আরও পড়ুন- দেউচা-পাচামিতেই দেশের সেরা পুনর্বাসন প্যাকেজ, আন্দোলনের আবহেই বড় ঘোষণা সরকারের
আরও পড়ুন- মোদীকে কটাক্ষ রাহুলের, একযোগে সোনিয়া পুত্রের বিরুদ্ধে আক্রমণে পদ্ম শিবিরের নেতা-মন্ত্রীরা
এখানেই না থেমে মমতা জানান, ১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টার সময় কলকাতায় নেওয়া হবে বিশেষ কর্মসূচি। তিনি বলেন, "ওই দিন বেলা ১টায় আমরা শ্যামবাজারে জমায়েত করব। সেখান থেকে মিছিল কতদূর যাবে তা পরে ঠিক করে নেওয়া হবে। কিন্তু পুজোর ১ মাস আগে পয়লা সেপ্টেম্বরই করতে হবে ওই প্রোগ্রাম। পুজোর একমাস আগেই আমরা মানুষকে রাস্তায় নামিয়ে দেব। আলোকজ্জ্বল হবে সেই মিছিল। বাংলার মানুষ দেখিয়ে দেবে বাংলাকে স্বীকৃতি দিলে বাংলা যে কীভাবে সেটাকে মর্যাদা দেয় সেটাকে দেখানো আমাদের কিন্তু কাজ। এবারে পুজো কার্নিভাল হবে দেখার মতো। যার যাবতীয় দায়িত্ব থাকবে পর্যটন বিভাগের উপর। এর জন্য এখন থেকে সমস্ত ডিপ্লোম্যাটদের ইনভাইট করে রাখবে। রেড রোডের অনুষ্ঠান যেন হয় দেখার মতো। "
আরও পড়ুন- শাসক হোক বা বিরোধী, বড় অংশের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ