সায়ন্তন বসুর পর এবার ভারতী ঘোষ। মুখ্য়মন্ত্রীর চা বানানো নিয়ে খোঁচা দিলেন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ।
দিঘায় দাঁড়িয়ে প্রথম কটাক্ষটা করেছিলেন রাজ্য় বিজেপির অন্য়তম কাণ্ডারী সায়ন্তন বসু। বিতর্কিত এই বিজেপি নেতা বলেছিলেন,প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চায়ওয়ালা থেকে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আর মমতা ব্য়ানার্জি মুখ্য়মন্ত্রী থেকে চায়ওয়ালি হবেন। এবার সেই একই পথে হাঁটলেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার তথা বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরেরখড়গপুর ২ ব্লকের বসন্তপুরে বিজেপির একটি কার্যালয়ের উদ্বোধন ছিল। সেখানে ভারতী ঘোষ বলেন, দিদি হঠাৎ চা বানাচ্ছেন। চা বানিয়ে মানুষকে খাইয়ে বোকা বানিয়ে আসলে১৮ টা আসন ফেরত চাইছেন। হঠাৎ এই ইচ্ছে জাগলো কেন? চা বানিয়ে একজন প্রধানমন্ত্রী হয়েছে বলে কি? নাকি প্রশান্ত কিশোরের বুদ্ধিতে চা বানিয়ে মানুষের কাছে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। এভাবে আর মানুষের কাছে আসা যায় না। শিক্ষিত যুবক যুবতীদের চাকরি নেই, গৃহহীনদের একটা আবাস যোজনার ঘর নেই। শিক্ষক থেকে সাধারণ মানুষ সকলে প্রতিবাদে সামিল। আসলে রাজ ধর্ম পালন করেন নি। রাজধর্ম পালন না করে মুখ্যমন্ত্রী চা বিক্রি করে মানুষ ঠকানোর চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ন : মোদী প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, মমতা চা বেচবেন, তীব্র কটাক্ষ সায়ন্তনের, দেখুন ভিডিও
আরও পড়ুন : বাথরুমে লুকিয়ে প্রেমিকা, তৃণমূল বিধায়কের ছেলেকে হাতেনাতে ধরলেন স্ত্রী
কদিন আগেই প্রশাসনিক বৈঠক শেষ করে সোজা বাংলা ওড়িশা সীমানা লাগোয়া গ্রাম দত্তপুরে চলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা গ্রামের একটি চায়ের দোকানে ঢুকে পড়েন তিনি। পরে দোকানের মালিক পরিমল জানাকে সরিয়ে নিজেই সবার জন্য চা বানাতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। চা বানিয়ে নিজেই কাগজের কাপে ঢেলে তা সবার হাতে তুলে দেন। মমতাকে এই রূপে দেখে হকচকিয়ে যান সঙ্গে থাকা মন্ত্রী, সাংসদ থেকে শুরু করে সরকারি আধিকারিকরা। একই অবস্থা হয় গ্রামবাসীদেরও। পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। আমি তো ছোট থেকেই এসব করতে অভ্যস্ত। রান্না করতেও আমি খুব ভালবাসি। আসলে সাধারণ মানুষের মতো থাকলেই এগুলো সহজে করা যায়। এখনও পাড়ার দোকান থেকে ঝালমুড়ি, ফুচকা কিনে খাই আমি।'
আরও পড়ুন : খাওয়া তো দূর, মিড ডে মিল রান্নাই হয় না এই স্কুলে
আরও পড়ুন : পদপিষ্টদের দেখতে হাসপাতালে মুখ্য়মন্ত্রী,মৃতদের পরিববারকে ক্ষতিপূরণ