সংক্ষিপ্ত
- মিড ডে মিল রান্না হয় না এই স্কুলে
- পড়ুয়াদের বরাতে এক প্য়াকেট বিস্কুট
- জলের কল খারাপ তাই রান্না হয় না
- স্কুলের জবাবে তোলপাড়
পত্রলেখা বসু চন্দ্র : নুন ভাতের পর এবার এক প্য়াকেট বিস্কুট। কল খারাপের জন্য় গত ১৫ দিন মিড ডে মিল রান্নাই হয় না এই স্কুলে।
প্রধানশিক্ষক দায় চাপাচ্ছেন পঞ্চায়েত প্রধানের ওপর। পঞ্চায়েত প্রধান বলছেন, মিড ডে মিলের সম্পর্কে জানতেনই না তিনি। যে যাই বলুক না কেন,মিড ডে মিলে শুকনো বিস্কুট খেয়েই দিন কাটাতে হচ্ছে বর্ধমানের কালনার মন্তেশ্বরের জামনা বালিকা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুদে পড়ুয়াদের। সমস্য়া তিন সপ্তাহ কেটে গেলেও কাটেনি খাবার সঙ্কট। পানীয় জলের কল খারাপ, তাই প্রায় ১৫ দিনের ও বেশি সময় ধরে বন্ধ মিড ডে মিল রান্না। মিড ডে মিলের বদলে ছাত্রীদের কয়েকটি বিস্কুট অথবা এক প্যাকেট বিস্কুট দিয়ে সন্তুষ্ট রাখছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।এমনই অভিযোগ কালনার মন্তেশ্বরের জামনা বালিকা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের। যদিও ১৫ দিনের কথা স্বীকার করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল কর্তৃপক্ষের মতে, দু সপ্তাহ নয় সাত-আট দিন বন্ধ রয়েছে রান্না।
আরও পড়ুন : পদপিষ্টদের দেখতে হাসপাতালে মুখ্য়মন্ত্রী,মৃতদের পরিববারকে ক্ষতিপূরণ
আরও পড়ুন : ধর্মের সঙ্গে ঘুচে গেল রাজনীতির রংও, জন্মাষ্টমীতে সাক্ষী থাকল মালদহ
পড়ুয়াদের অভিযোগ, এই ঘটনা এক-দু' দিনের নয় প্রায় কুড়ি দিনের অধিক চলে আসছে। মিলছে না পানীয় জলও। কেন কুড়ি দিনেরও বেশি দিন ধরে মিড ডে মিল বন্ধ এই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত প্রধানকে জানানো হয়েছে কল সারানোর জন্য। মিস্ত্রি এসেছিল, একটু সময় লাগবে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান সুস্মিতা মল্লিক জানিয়েছেন,তঁকে কল সারানোর জন্য বলা হয়েছিল। কল সারানোর লোক পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মিড ডে মিল বন্ধ সেটা তাঁর জানা ছিল না। ব্যাপারটা দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন :কচুয়াধামে পদপিষ্টের ঘটনায় মমতাকে খোঁচা দিলীপ ঘোষের
আরও পড়ুন:বাংলাতেই রয়েছে রাবড়ি গ্রাম, জন্মাষ্টমীতে দম ফেলার সময় নেই বাসিন্দাদের
কদিন আগেই মিড ডে মিলের 'দুর্নীতি' প্রকাশ্য়ে এসেছিল হুগলির বাণী মন্দির স্কুলে। আচমকা স্কুলে এসে মিড ডে মিল দেখে অবাক হয়ে যান হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্য়ায়। ছাত্রীদের শুধুমাত্র সেদ্ধভাত খেতে দেওয়া হয়েছে দেখে অবিলম্বে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। গত একমাস ধরে ছাত্রীদের এই নুনভাত খেতে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। বিষয়টি প্রকাশ্য়ে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। পরে স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান টিচার ইনচার্জ শমিতা কুশারি এবং পূর্বা মুখোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করা হয়। স্কুলে পৌঁছন চুঁচুড়া সদরের মহকুমা শাসক অরিন্দম বিশ্বাস। স্কুলের শিক্ষিকা এবং পরিচালন সমিতির সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। মিড ডে মিলে নুন ভাতের কথা শুনে বিকাশ ভবনেও শোরগোল পড়ে যায়। তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকেন শিক্ষাসচিব। বুধবারই ছাত্রীদের পাতে ফেরে ডিমভাত।