আবারও এক রেল দুর্ঘটানর সাক্ষী রইল বাংলা। এবার লাইন চ্যুত হল বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন। শনিবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি জংশনেপর কাছে ডিজেল কারশেডে নিয়ে আসার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আবারও এক রেল দুর্ঘটানর (Train Accident) সাক্ষী রইল বাংলা। এবার লাইন চ্যুত (derailed) হল বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের (Bikaner-Guwahati Express)ইঞ্জিন। শনিবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি জংশনেপর কাছে ডিজেল কারশেডে নিয়ে আসার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
গত ১৩ জানুয়ারি নিউ ময়নাগুড়ি ও নিউ দোমোহনি স্টেশনের কাছে লাইন চ্যুত হয়ে পড়ে বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। সেই দুর্ঘটনার ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। প্রায় ১২টি কামলা লাইনচ্যুত হয়েছিল। সেই দুর্ঘটনার ভয়াবহ স্মৃতি এখনও বাস্তব বাংলার মানুষের কাছে। এই ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই এই দুর্ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
রেল সূত্রে জানাগেছে প্রাথমিক তদন্তের পর ইঞ্জিনটিকেই নিয়ে আসা হচ্ছিল শিলিগুড়ি জংশনের ডিজেল শেডে। কিন্তু শেডে নিয়ে যাওয়ার আগেই আবারও দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এই দূরপাল্লার ট্রেনের ইঞ্জিন। এবারও মোটর শেডের কাজ বন্ধ হয়ে চাকা আটকে এই বিপত্তি বলে রেল সূত্রের খবর। এই ঘটনার জেরেই বন্ধ হয়ে যায় এই লাইনের ট্রেন চলাচল। ঘুর পথে চালান হয় শিমিক-মহানন্দা এক্সপ্রেস। প্রায় আধঘণ্টা চেষ্টা করে রেল কর্মীরা ইঞ্জিনটিকে লাইনে তুলতে পারেন। তারপরই সেটিকে শেডে নিয়ে যাওয়া হয়।
ময়নাগুড়িতে লাইনচ্যুত (Maynaguri train accident) হয়েছে পাটনা-গুয়াহাটি বিকান এক্সপ্রেস (Patna- Guwahati Bikan Express)। দূরপাল্লার এই ট্রেনটি ময়নাগুড়ির দোমোহিনীর কাছে উল্টেযায়। এই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল। রেল কর্তৃপক্ষের অনুমান, সিগন্যালে কোনও সমস্যা ছিল না। লাইনের সমস্যা থেকেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সব দিক খতিয়ে দেখতেই উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল। এদিন ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা তিন থেকে বেড়ে হয়েছে চার। এই ঘটনায় আহতের সংখ্যা ৪০। হতাহতের সংখ্য়া আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, আহতদের জপাইগুড়ি ও ময়নাগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রায় ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে।
পাটনা থেকে গুয়াহাটিগামী দূরপাল্লারট ট্রেনটি বিকেল পাঁচটা নাগাদ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার পর ট্রেনের চার থেকে পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়। প্রতিটি কম্পার্টমেন্টেরই যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন একটি কামরা রেল লাইন থেকে ছিটকে জলে পড়ে যায়। রেল সূত্রের খবর সব মিলিয়ে প্রায় ১২টি কামরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭টি কামরা। ট্রেনে প্রায় ৭০০ জন যাত্রী ছিলেন।
বিস্তারিত আসছে...