তৃণমূল উপপ্রধানের খুনের ঘটনার পর মূলত অগ্নিগর্ভ রামপুরহাট, এবার দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
রামপুরহাটকাণ্ডে এবার দিল্লি (Delhi) যাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তৃণমূল উপপ্রধানের খুনের ঘটনার পর মূলত অগ্নিগর্ভ রামপুরহাট। আগুন পুড়ে ইতিমধ্য়েই একের পর এক ঝলসানো দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তাল রাজ্য-প্রশাসন। এই ঘটনার পর উত্তরবঙ্গ থেকে এদিনই কলকাতায় ফিরছেন রাজ্যপাল। এবার রামপুরহাটের ঘটনায় দিল্লি যাবেন রাজ্যপাল (Governor Jagdeep Dhankhar)।
রামপুরহাটের হিংসা-অশান্তির ঘটনার পর ইতিমধ্যেই ভিডিও বার্তায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। ১৬ মার্চ উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন তিনি। তবে এই ঘটনার পর এদিন কলকাতায় ফিরে আসছেন। তারপর পরের দিন শিলিগুড়িতে বিএসএফ-র একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দুপুরেই দিল্লি যাবেন ধনখড়। এদিকে, রাজ্যের তরফে এসআইটি গঠন করা হলেও, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র হস্তক্ষেপের দাবি করে রাজ্য বিজেপি। ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর দাবি জানায় তারা। আর এবার সেই দাবিতে সিলমোহর দিয়েছে অমিত শাহ।
রামপুরহাটকাণ্ডে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল। ৭২ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র সঙ্গে সাক্ষাত শেষে দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সুকান্ত মজুমদার বলেন, অমিত শাহ আমাদের আশ্বস্থ করেছেন। ৭২ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তারপর যুগ্মসচিব স্তরের আধিকারিকের নের্তৃত্বে কেন্দ্রীয় দল বাংলায় যাবে। বাংলায় এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন, তা খতিয়ে দেখতেই দিল্লি থেকে দল যাবে বাংলায়। পাশাপাশি এদিনই রামপুরহাট যাবেন বলে রওনা দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি।
রামপুরহাটকাণ্ডে ইতিমধ্যেই ভিডিও বিবৃতি দিয়েছেন রাজ্যপাল। ভিডিওবার্তায় তিনি জানিয়েছেন, এবিষয়ে তিনি অবগত হতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ভিডিও বার্তায় রাজ্যপাল বলেছেন, রামপুরহাটের ভয়াবহ ও নৃশংস ঘটনা আমি মর্মাহত। ডিজিপির বিবৃতি অনুসারে রামপুরহাটকাণ্ডে ইতিমধ্য়েই রাজ্যের ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা যে মুখ থুবড়ে পড়েছে, এই ঘটনা তারই ইঙ্গিত দিয়েছে। এভাবে রাজ্যে অরাজকতা চলতে দিতে পারি না, এটা আমি আগেও বলেছি। প্রশাসনকে রাজনৈতিক বিভাজনের উপরে উঠতে হবে। আমি পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে এব্যাপারে পেশাদারিভাবে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছি। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে অতিদ্রুত এই ঘটনা নিয়ে অবগত করতে বলেছি। রামপুরহাটের এই ঘটনায় আজ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, রাজ্যের মানবধিকার বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।'