সংক্ষিপ্ত
'টিভি কিংবা গ্যাস বাস্ট করে নয়, আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ফলেই মৃত্যু হয়েছে আট জনের', অনুব্রত মণ্ডল ও ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যকে নস্যাৎ করে একথা জানালেন তৃণমূলের রামপুরহাট ১ ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন।
'টিভি কিংবা গ্যাস বাস্ট করে নয়, আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ফলেই মৃত্যু হয়েছে আট জনের', রামপুহাটকাণ্ডে ( Birbhum Rampurhat Incidnent) অনুব্রত মণ্ডল ও ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যকে নস্যাৎ করে একথা জানালেন তৃণমূলের রামপুরহাট ১ ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন ( TMC Leader Anarul Hossain) ।
'আনারুলের নির্দেশেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে গ্রামে'
প্রসঙ্গত, ভাদু শেখ খুনের পরেই খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন আনারুল হোসেন। তিনি সেখানে বার বার শান্তির বার্তা দেন। কিন্তু রাত গড়াতেই গ্রামে অশান্তি নেমে আসে। হত্যালীলা পরিণত হয় গ্রামে। মৃত্যু হয় দশ জনের। মৃতদের পরিবারের অভিযোগ, ব্লক সভাপতি আনারুলের নির্দেশেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে গ্রামে। ভাদু খুনের আসামিরাই নিজেদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যালীলা চালিয়েছে। তৃণমূলকে বদনাম করতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে পুলিশের আরও তৎপর হওয়া উচিত ছিল। এই ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সকলেই ভাদু শেখ ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে।
'পরিবারের সদস্যদের না জানিয়েই ৮ টি মৃতদেহ সমাধিস্থ'
এদিকে রাতের অন্ধকারে আট জনের সমাধি দেওয়া নিয়েও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের না জানিয়েই ৮ টি মৃতদেহ সমাধিস্থ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, রামপুরহাটের ঘটনায় সিট গঠন করে ওসি , এসডিপিও-কে অপসরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌছে ঘটনার তদন্তে পৌছেছেন বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি। তৃণমূল নেতা খুনে দুষ্কৃতীদের ধরতে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে দুটি সিসিটিভি রয়েছে। একটি রামপুরহাট পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান, তৃণমূল কাউন্সিলর অশ্বিনী তেওয়ারির বাড়িতে অন্যটি রয়েছে ট্রাফিক পুলিশের। দুটি সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। ঘটনাস্থল ইঁট দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।
নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন, ভরসা নেই বিজেপির
রামপুরহাটে এতজনের মৃত্যু খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন। সবরকম প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন কর্তারা। নবান্নের সঙ্গে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্যপুলিশের ডিজিও জরুরী বৈঠক করেছেন। গোটা ঘটনায় রিপোর্ট তলব করা হয়েছে নবান্নের তরফে। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রামপুরহাট যান রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।তাঁর সঙ্গে ঘটনাস্থলে যান আরও তিন তৃণমূল বিধায়ক। এডিজি, সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিংহের নের্তৃত্বে সিট গঠন করা হয়েছে। তবে সিট গঠন করলেও ভরসা নেই বিজেপির। রামপুরহাটকাণ্ডে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল। ৭২ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র সঙ্গে সাক্ষাত শেষে দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।