'যারা পুড়িয়ে মেরেছে, তাঁরা জেলে থেকেও সব রকম সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। বিয়ার খাচ্ছে, বাইরের খাবার খাচ্ছে। আর এসব করছে আশীষ বন্দ্য়োপাধ্যায়', বিস্ফোরক দাবি মিহিলালের।
বগুটুই গণহত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত শুরু হতেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। একের পর এক তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়েছে এই হত্যাকাণ্ডে। আর এবার তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নাম জড়িয়েছে। এই ঘটনায় আশীষ বন্দ্য়োপাধ্যায়ের জড়িত থাকার বিস্ফোরক দাবি করেছেন একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী মিহিলাল শেখ। যার দরুণ প্রত্যক্ষদর্শীর এই দাবি স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য তৃণমূল নের্তৃত্ব।
বগুটুই গণহত্যার ঘটনায় আগেই নাম জড়িয়েছে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। সিবিআই তদন্ত শুরু হতেই একের পর এক তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিকজনকে জেরা শুরু করেছে সিবিআই তদন্তকারীর দল। আর এবার বগুটুই গণহত্যার ঘটনায় তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্য়োপাধ্যায়ের জড়িত থাকার বিস্ফোরক দাবি করেছেন একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী মিহিলাল শেখ। বস্তুত বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার নাম জড়ানোয় তাঁকেও কি জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই, এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে।
মিহিলাল শেখ দাবি করেছেন, 'আশীষ বন্দ্য়োপাধ্যায় আনারুলকে দিয়ে এই সকলকাণ্ড করিয়েছেন। উনিই আনারুলকে ব্লক সভাপতি করিয়েছেন। তিনিই আনারুলকে গাইড করিয়েছেন, কাউকে যেনও ছাড়া না হয়। মিহিলালের স্পষ্ট দাবি আশীষ বন্দ্য়োপাধ্যায়, আমাদের উপর অত্যাচার করেছে। যারা পুড়িয়ে মেরেছে, তাঁরা জেলে থেকেও সব রকম সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। বিয়ার খাচ্ছে, বাইরের খাবার খাচ্ছে। আর এসব করছে আশীষ বন্দ্য়োপাধ্যায়।'
আরও পড়ুন, মোটরবাইকে চড়ে এলেন ৩ আততায়ী, ঝালদাকাণ্ডে সিবিআই-র সামনে কাঠের বন্দুক থেকে চলল গুলি
এদিকে বগটুইগণহত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত শুরু হওয়ার আগেই মমতার নির্দেশে আনারুল হোসেন কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বীরভূমের জেলাসভা সম্প্রতি আনারুলের সরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে আশীষ বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেই আমি আশীষকে বলেছিলাম, আারুলকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। ' মিহিলালের কথায় রহস্য আরও জটিল হয়েছে।
আরও পড়ুন, 'শিল্পপতি কি ওনার ভাইপো, ভয় পাচ্ছেন কেন', এজেন্সি ইস্যুতে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর
সিবিআই সূত্রের খবর, ২১ মার্চ রাতে তৃণমূলের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের বহিষ্কৃত সভাপতি আনারুল শেখের নির্দেশেই বগটুই গ্রামে আগুন লাগিয়েছিল আজাদ শেখ। রীতিমতো নাকি পেট্রোলপাম্প থেকে ডিজেল কিনে আগুন লাগানো হয় সোনা শেখের বাড়িতে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ১৯ জনকে ক্যাম্প অফিসে নিয়ে আসে সিবিআই। সেখানে তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেন গোয়েন্দারা। আর সেখান থেকেই একাধিক চাঞ্চল্যকর উঠে এসেছে। এছাড়া এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে গিয়ে ১ সাব ইন্সপেকটর এবং তিন অ্যাসিট্যান্ট সাব ইন্সপেকটরকে জেরা করছে সিবিআই। তাঁদের কাছে নিষ্ক্রিয় থাকার জন্য নির্দেশ এসেছিল কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।