সংক্ষিপ্ত

রাজ্যে ফের আরও একটা ধর্ষণ করে খুন উদ্বেগ বাড়াল প্রশাসনের। ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা এবার মেদিনীপুরে।

রাজ্যে ফের আরও একটা ধর্ষণ করে খুন উদ্বেগ বাড়াল প্রশাসনের। ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা এবার মেদিনীপুরে। দেগঙ্গা, মালদহ, মাটিয়া, হাঁসখালি, ময়নাগুড়ি, শান্তিনিকেতন একের পর এক ধর্ষণ হয়েই চলেছে রাজ্যে। প্রায় প্রতিসপ্তাহেই একাধিক গণধর্ষণের ঘটনা উঠে আসছে। কোথাও খুনের হুমকি, কোথাও ধর্ষণের পর হত্যা, কোথাও আবার ধর্ষণের পর দেহ দাহ করা হচ্ছে। ভয়াবহ একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। এবার শোকের ছায়া মেদিনীপুরে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় অর্ধনগ্ন অবস্থায় এক মহিলার দেহ উদ্ধা হয়েছে। পিংলা জামনা ২ নং ব্লকের উজান গ্রামে ফাঁকা মাঠে, পুকুরের সামনে এক মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ প্রথম চোখে পড়ছে স্থানীয় বাসন্দাদের। এরপরেই সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর পাঠানো হয়।মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।  ইতিমধ্যেই স্ত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার স্বামী। এরপরেই তদন্তে নেমে রঞ্জন সিং নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, ' ওই মহিলার সঙ্গে কাজ করত ধৃত ব্যাক্তি। আগে থেকেই আলাপচারিতা ছিল। নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই রঞ্জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এটা ধর্ষণ করে খুন কিনা, ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই বোঝা যাবে। '

আরও পড়ুন, 'আমাকে বলেছিল, ধর ওকে রেপ করব', হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআই-র কাছে এল ভয়াবহ তথ্য

দেগঙ্গা, মালদহ, মাটিয়া, হাঁসখালি, ময়নাগুড়ি, শান্তিনিকেতন একের পর এক ধর্ষণ হয়েই চলেছে রাজ্যে। কোথাও কলকাতা পুলিশ, কোথাও সিবিআই তদন্ত চলছে। গ্রেফতারও হচ্ছে। কিন্তু কথা হচ্ছে আর কত ধর্ষণ হবে পশ্চিমবঙ্গের বুকে, কেন এই নৃশংসঘটনাগুলিতে যবনিকা টানা যাচ্ছে না, কেন রাজ্যের অপরাধ মনষ্কদের লাগাম পড়ানো যাচ্ছে না, ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে সমাজের স্তরে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে ছাত্রী-মহিলা-গৃহবধূ একা বাইরে বের হতে রীতিমতো আতঙ্কে থাকছে। গ্রাম বাংলা, মফস্বলে শুনশান এলাকাগুলিকেই টার্গেট করছে ধর্ষণকারীরা। তবে পৈশাচিক ধর্ষণের ঘটনার হাজারো উদাহরণ রয়েছে কলকাতার বুকে। 

আরও পড়ুন, যৌন সঙ্গমের পরেই কি খুন, বীরভূমের কীর্ণাহারে বিধবা মহিলার দেহ উদ্ধার

প্রসঙ্গত, রাজ্যের সম্প্রতি সবথেকে বেশি আড়োলন ফেলেছে হাঁসখালি গণধর্ষণের ঘটনা। যেখানে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে। নাবালিকাকে শুধু গণধর্ষণ নয়, মৃত্যুর পর প্রমাণ লোপাট করতে দাহও করে দিয়েছে ধৃতরা বলে অভিযোগ। কার্যত এই ঘটনা রাজ্যবাসীর ঘুম উড়িয়েছে। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় সরব বিজেপি সহ শাসক বিরোধীরা। যদিও বারংবার অপরাধের ঘটনায় শাসকদলের শীর্ষ নের্তৃত্ব উত্তরপ্রদেশের ছবিটা মনে করতে বলেছেন। আর এখানেই উসকে গিয়েছে রাজ্য-রাজনীতি।

আরও পড়ুন, মোটরবাইকে চড়ে এলেন ৩ আততায়ী, ঝালদাকাণ্ডে সিবিআই-র সামনে কাঠের বন্দুক থেকে চলল গুলি