সংক্ষিপ্ত
'শিল্পপতি কি ওনার ভাইপো, ভয় পাচ্ছেন কেন, সব জায়গায় এজেন্সি এজেন্সি', বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের দিনে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর।
বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। শিল্প কর্তাদের থেকে ইতিমধ্য়েই বড় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলা। এহেন শুভ দিনেই বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে রাজ্যপালের আর্জি জানিয়ে মমতা বললেন, 'কোনও কেন্দ্রীয় এজেন্সি যেনও শিল্পপতীদের বিরক্ত না করে।' এরপরেই মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে উদ্দেশ্যে পাল্টা তোপ দেগে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'শিল্পপতি কি ওনার ভাইপো, ভয় পাচ্ছেন কেন, সব জায়গায় এজেন্সি এজেন্সি। যেখানে যান রাজনৈতিক -অরাজনৈতিক কথা। শিল্পপতিরা সব কিছুর উর্ধ্বে নাকি, প্রশ্ন ছোড়েন শুভেন্দু।
শুভেন্দু এদিন বলেন, কোনও শিল্পপতি যদি আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কেন ব্যবস্থা নেবে না। কোনও শিল্পপতি যদি কর ফাঁকি দেন, তাহলে আয়কর বিভাগ কেন ব্যবস্থা নেবে না। কাদের ভয় পাচ্ছেন। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের যে ছবি শিল্পপতিরা কিনেছিলেন, সারদা , রোজভ্যালির সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের বিষয়ে বলে ফের প্রশ্ন করেন তিনি। আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়।' উল্লেখ্য, বুধবার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে শিল্প কর্তাদের থেকে ইতিমধ্য়েই বড় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলা। এহেন শুভ দিনেই অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে এসে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দেগে ফের কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মমতা। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে রাজ্যপালের আর্জি জানিয়ে ,মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, শিল্পপতিরা মুখ খুলতে পারেন না। আমরা কেন্দ্রের সমস্ত সাহায্য চাই। শিল্পপতীদের যেনও এজেন্সি দিয়ে বিরক্ত করা না হয়। রাজ্যপালকে সেকথা কেন্দ্রকে জানানোর আবেদন জানাই' বলেন এদিন মমতা।
আরও পড়ুন, রাজ্যে ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ, ২৫ হাজারেরও বেশি চাকরি, আদানির মুখে মমতার প্রশংসা
অপরদিকে এদিন, বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদী কি আসবেন, এনিয়ে প্রথমে সংশয় তৈরি হয় । যদিও প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এনিয়ে কিছুই জানানো হয়নি। প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রন জানানো হয়নি বলে দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ। শুভেন্দুর পাশাপাশি বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের দিনে মমতার সরকালকে তোপ দেগে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, আজ বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। আমার মনে হয় সিলিকন ভ্যালি একবার ঘুরে দেখা উচিত। দুই তিন বছর আগে হোর্ডিং দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল। এখন দুই একটি মুখ্যমন্ত্রীর হোর্ডিং রয়েছে। বছরের পর বছর বেঙ্গল সামিট হয়েছে, টাকার শ্রাদ্ধ ছাড়া আর কিছুই নয়। মানুষের ট্যাক্সের টাকা খরচ হয়েছে।'
আরও পড়ুন, রাস্তায় ফেলে তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মার, কাঠগড়ায় এলাকার খোদ তৃণমূল নেতা, উত্তেজনা খড়দহে
প্রসঙ্গত, এবার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আসরে মোট ১৪ টি দেশের প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছে। মঙ্গলবারেই সেজে উঠেছে বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টার। আমেরিকা, ইতালি, নেদারল্যান্ড, জার্মানি, বাংলাদেশ, ভুটান, অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, জাপান কেনিয়ার মতো শিল্প প্রতিনিধিরা এখানে যোগ দিচ্ছেন। উল্লেখ্য, মমতার সরকার তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এদিন প্রথম সম্মেলন হচ্ছে। উল্লেখ্য, দুদিন ব্যাপী সম্মেলনের প্রথম দিনের বড় অঙ্কের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আদানি এবং হিরানন্দানি শিল্পগোষ্ঠী। রাজ্যের একাধিক ক্ষেত্রে ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা জানালেন গৌতম আদানি।এই বিনিয়োগের ফলে রাজ্যের ২৫ হাজার কর্ম সংস্থান হবে।
আরও পড়ুন, যৌন সঙ্গমের পরেই কি খুন, বীরভূমের কীর্ণাহারে বিধবা মহিলার দেহ উদ্ধার