বেলঘরিয়ায় এক পুষ্পপ্রদর্শনী মেলায় গিয়ে জাতীয় ফুল পদ্মকে ছিড়ে ফেলেন মদন মিত্র।'জাতীয় ফুল পদ্মকে অবমাননা বিধায়ক মদন মিত্র-র', এরই প্রতিবাদেই রহড়া থানায় অভিযোগ দায়ের বিজেপির তরফে।
'জাতীয় ফুল পদ্মকে অবমাননা বিধায়ক মদন মিত্র -র', এই প্রতিবাদেই রহড়া থানায় অভিযোগ দায়ের বিজেপির তরফে। উল্লেখ্য, 'বাংলাকে পদ্ম দিয়ে অপমানিত করা হয়েছে।' সম্প্রতি এমনটাই বলেছিলেন কামারহাটি বিধায়ক মদন মিত্র (TMC MLA Madan MItra)। পদ্মফুল একেবারেই তেমন পছন্দ নয় বিধায়কের। সেই কারণে বেলঘরিয়ায় এক পুষ্পপ্রদর্শনী মেলায় গিয়ে জাতীয় ফুল পদ্মকে ছিড়ে ফেলেন মদন মিত্র। তিনি পদ্মকে বয়কট করার ঘোষণা করেন। এরপরেই শনিবার এই ঘটনায় কামারহাটি বিধায়ক মদন মিত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন বিজেপি কর্মীরা (BJP Worker) ।
থানায় গিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকেও পদ্মফুল দেওয়ার চেষ্টা বিজেপি কর্মীদের
২৬ জানুয়ারি মদন মিত্র বেলঘরিয়ায় এক পুষ্পপ্রদর্শনী মেলায় গিয়ে জাতীয় ফুল পদ্মকে ছিড়ে তিনি পদ্মকে বয়কট করার ঘোষণা করেন। শনিবার সেই ঘটনারই প্রতিবাদ জানাতে বিজেপি কলকাতা উত্তর শহরতলী জেলার মাইনরিটি মোর্চা সভাপতি শেখ রমজান আলী সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী রহড়া থানায় এসে কামারহাটি বিধায়ক মদন মিত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন । তিনি থানায় গিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে সৌজন্যমূলক ভাবে পদ্মফুল দিতে গেলে তিনি তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। এরপর তিনি থানা থেকে বেরিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সেই পদ্মফুল বিতরণ করেন। এবং সাধারণ মানুষ পদ্মফুল গ্রহণ করেন । রমজান আলী বলেন, 'সমাজের এক নাগরিক হিসাবে জাতীয় ফুল পদ্ম ফুলকে অবমাননা করার প্রতিবাদে তিনি এই অভিযোগ দায়ের করলেন।'
'পদ্ম' বিতর্ক ফের উসকে দিল রাজ্য-রাজনীতি
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার কামারহাটি বিধানসভা এলাকায় এক মেলায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কামারহাটির বিধায়ক। সেখানে জাতীয় ফুল পদ্মকে ছিড়ে ফেলেন মদন মিত্র। তিনি পদ্মকে বয়কট করার ঘোষণা করে বলেন,' এটা হচ্ছে ফুলের মেলা। আমরা পদ্মকে টুকরো টুকরো করলাম। এই পদ্ম কোনওদিনও বেলঘড়িয়ার ফুলের মেলায় থাকবে না। কারণ আমরা মনে করি , বাংলাকে পদ্ম দিয়ে অপমান করা হয়েছে। এটা যেহেতু বিজেপির প্রতীক চিহ্ন, তাই এতে মায়ের অপমান করা হচ্ছে। তাই পদ্মের বদলে জবা দিয়ে আমরা তোমার কাছে এই কথাই বলব, আমরা পদ্মকে ফিরিয়ে দিলাম।' বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্য-রাজনীতিতে এই ঘটনা যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। একদিকে কেন্দ্রীর সরকারের দেওয়া পদ্ম সম্মানকে প্রত্যাখান করেছেন বাংলার একাধিক শিল্পী। আর এহেন মুহূর্তে 'বাংলাকে পদ্ম দিয়ে অপমানিত করা হয়েছে' বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কামারহাটির বিধায়ক। সব মিলিয়ে বাংলার বকেয়া পুরভোটের আগে এই ইঙ্গিত পদ্ম শিবিরের জন্য মোটেই ভাল নয় বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের।