সংক্ষিপ্ত

বাংলার আসন্ন পুরভোটের প্রচারে ফের বাধা দিলীপ ঘোষকে, তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। চটে গিয়ে তৃণমূলকে প্রশ্ন ছুড়লেন দিলীপ ঘোষ, পাল্টা আক্রমণ কুণালের।

 

বাংলার আসন্ন পুরভোটের (Municipal Elections 2022) প্রচারে ফের বাধা দিলীপ ঘোষকে। বিধাননগরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার চলাকালীন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে 'বাধা' দেয় পুলিশ। দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে।

দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ

উল্লেখ্য, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বিধানগর পুরনিগমে নির্বাচন। কোভিডের কারণে এমনিতেই পুরভোটের তারিখ পিছিয়ে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। যার ফলে হাতে অনেকটা সময় পেয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এদিকে রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ প্রায় সব জেলাতেই কমে এসেছে। তাই পুরভোটের প্রচারে জোর কদমে চালাচ্ছে পদ্ম শিবির। আর সেই প্রচারের জেরেই এদিন চাঞ্চল্য ছড়ালো বিধাননগরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে 'বাধা' দেয় পুলিশ বলে জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। প্রচারে নেমে কোভিড বিধি লঙ্ঘন করেছেন তিনি, বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, দিলীপ ঘোষের সঙ্গে প্রচারের সময় ৫ জনের বেশি লোক ছিল বলে অভিযোগ। 

আরও পড়ুন, Post Poll Violence: 'ভোট পরবর্তী হিংসায় আদালতের বিচারে ভয় পেয়েছে তৃণমূল', তোপ প্রিয়াঙ্কার

'প্রচার যদি নাই করতে দেন তাহলে নির্বাচন করছেন কেন'-দিলীপ

২০ নম্বর ওয়ার্ডের জগৎপুর বাজারে প্রচারের সময় দিলীপ ঘোষকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় বেজায় চটেছেন  বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন যে, 'আমি বুঝতে পারছি না।আমি বাজারে এসেছি , মানুষের সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু পুলিশ আমায় আটকাচ্ছে। প্রচার যদি না করতে দেন তাহলে নির্বাচন করছেন কেন। এরপরে প্রচারের মাঝপথেই বিধাননগরের ২০ নম্বর ওয়ার্ড ছেড়ে ২১ নং ওয়ার্ডের পথে রওনা হন তিনি। '

  'এবিষয়ে কথা না বলাই ভালো'-কুণাল !

 এদিকে পাল্টা কুণাল ঘোষ এই ঘটনার পর বলেছেন, 'কোভিড বিধি না মানলে পুলিশ বাধা দেবেই। এটা তো স্বাভাবিক ব্যাপার। কোভিড মেনেই করা উচিত। এর আগেও আমরা দেখেছি, দিলীপ ঘোষ ঘুরছেন মিছিল নিয়ে। কিন্তু এই মুহূর্তে সেটা সম্ভব নয়। এখানেই শেষ নয় কুণাল ঘোষ আরও বলেন, দিলীপ ঘোষ বাধা পেয়ে যেনও আরও বেশি কথা না বলেন, ত্রিপুরার আগরতলার পুরভোটের প্রচারের আগে কী হয়েছিল, তারপরে তাঁর এবিষয়ে কথা না বলাই ভালো।' 

কী হয়েছিল ত্রিপুরায় ?

মূলত কোভিড পরিস্থিতি কথা মাথায় রেখেই বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর এবং শিলিগুড়ি পুরনিগমে ভোট পিছিয়ে দেয় রাজ্য কমিশন। এনিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। এদিকে গত বছর কলকাতা পুরভোটের আগেই ত্রিপুরায় পুরভোট হয়ে গিয়েছে। সেই পুরভোটের আগে নানা ভাবে 'বাধা'র সম্মুখীন হয়েছে তৃণমূল। সেবারও কোভিডকেই কারণ হিসেবে দর্শিয়েছিল সেই রাজ্য়ের বিজেপির বিল্পব দেবের সরকার। আর এবার রাজ্যে পুরভোটের দোরগড়ায় নির্বাচনী বিধিভঙ্গে এবার সেই প্রতিচ্ছবিটাই দিলীপের সামনে তুলে ধরলেন কুণাল ঘোষ।