তিন বছর আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়েছিলেন মকুল রায়। একইভাবে বিজেপিতে গিয়েছিলেন বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ অনুপম হাজরাও। দুজনেই বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরে বড়সড় দায়িত্ব পেয়েছেন। অন্যদিকে, দীর্ঘ দিনের বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বিজেপির কেন্দ্রীয় পদে থাকলেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। এই অবস্থায় রাহুল সিনহার ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরে সদ্য দায়িত্ব প্রাপ্ত অনুপম হাজরা।
আরও পড়ুন-স্বপ্ন অধরাই রইল দ্বীপায়ন-মেধার, নিউটাউনের মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু যুগলের
দায়িত্ব পেয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে সফরে গিয়েছিলেন অনুপম হাজরা। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, ''আমরা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়েছি বলে রাহুল দার ক্ষোভ রয়েছে। যদিও ব্যক্তিগতভাবে রাহুল দার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক অনেক ভাল। উনি এখন মানসিক অস্বস্তিতে রয়েছেন। আমার মনে হয় চায়ের আড্ডার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপে নাড্ডা ''।
আরও পড়ুন-'দেশের কৃষিক্ষেত্র-কৃষক-গ্রাম আত্মনির্ভর ভারতের হাতিয়ার', মন কি বাতে কৃষি বিলের পক্ষে সওয়াল প্রধানমন
এরপরই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তিনি বলেন, ''বিজেপি দলের কর্মকর্তারা করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর শত্রু তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে লড়ছেন। উনি তো মাস্ক ছাড়া ঢুকে পড়েছেন। আমি ভেবে রেখেছি, আমার যদি করোনা আক্রান্ত হই, তাহলে প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে জড়িয়ে ধরব। কারণ, করোনার সময় মানুষের সঙ্গে উনি যে ব্যবহার করেছেন, মানুষের লাশ যেভাবে পুড়িয়েছেন, কেউ বোধ হয় কুকুর বেড়ালের সঙ্গেও এরকম ব্যবহার করেন না। রাজ্যবাসীকে কাঁদিয়েছেন মমতা। মানুষের সিদ্ধান্ত হল তৃণমূল দলটাকে উৎখাত করা''।
আরও পড়ুন-বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল, দায়িত্ব পেয়েই মুখ খুললেন কৃষি বিল নিয়ে
পাশাপাশি, রীতিমত আক্রমণাত্মকভাবে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন অনুপম হাজরা। তিনি বলেন, ''তৃণমূলকে সমূলে নির্মূল করা, এটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। তার জন্য যা যা করতে হয়, যদি সোজা আঙুলে ঘি না ওঠে, আমরা আঙুল বাঁকাতেও প্রস্তুত আছি''। মন্তব্য অনুপম হাজরার। এছাড়াও, বিজেপির দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্য়ে তিনি আরও বলেন, ''একুশের বিধানসভা ভোট আমাদের কাছে হারজিতের লড়াই, মরণ-বাঁচন লড়াই''।