করোনা রোধে বিশেষ মাস্ক, বর্ধমানের কিশোরীর আবিষ্কারকে 'স্বীকৃতি' কেন্দ্রের

  • করোনা যুদ্ধে এবার হাতিয়ার বিশেষ মাস্ক
  • নয়া আবিষ্কারে তাক লাগালো কিশোরী
  • মিলেছে কেন্দ্রীয়  সরকারের স্বীকৃতি
  • দাবি পরিবারের

Asianet News Bangla | Published : Apr 26, 2020 6:37 AM IST / Updated: Apr 26 2020, 12:10 PM IST

কতইবা আর বয়স! করোনা আতঙ্ক নাড়িয়ে দিয়েছে কিশোরীকেও। লকডাউনে বাড়ি বসে সংক্রমণ রোধী বিশেষ মাস্ক বানিয়ে ফেলেছে বর্ধমানের মেমারির এক স্কুলছাত্রী। পরিবারের লোকদের দাবি, তার আবিষ্কারকে স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রযুক্তিমন্ত্রক। খুব তাড়াতাড়ি বাজারে আসতে চলেছে সেই মাস্ক। 

আরও পড়ুন: সপ্তাহ দুয়েক লড়াই, করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরলেন ক্যানসার আক্রান্ত মহিলা

পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পুর এলাকায় সুলতানপুরে থাকে দিগন্তিকা বসু। মেমারি ভি এম ইন্সটিটিউশন(ইউনিট ২) স্কুলের একদশ শ্রেণীর ছাত্রী সে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, উদ্ভাবনি ক্ষমতা দিগন্তিকার সহজাত। এর আগেও নতুন নতুন উদ্ভাবন করেছে ওই ছাত্রী। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন করোনা সংক্রমণ রোধী বিশেষ মাস্ক। যা স্বীকৃতি পেয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রযুক্তি মন্ত্রকেরও।

সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে না তো? করোনা আতঙ্কে ছড়িয়েছে রাজ্যের সর্বত্রই। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। লকডাউনের জেরে ছুটি পড়ে দিয়েছে স্কুলে। দিগন্তিকা জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন কী করা যেতে পারে? ভাবতে গিয়ে মাস্ক তৈরি করার কথা মাথায় আসে তার। যেমন ভাবা, তেমনি কাজ। নিজের বাড়িকেই কার্যত গবেষণাগার বানিয়ে ফেলে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রীটি। মাত্র ৮ দিনেই তৈরি হয়ে যায় করোনা সংক্রমণ রোধী বিশেষ ধরণের মাস্কও! স্বীকৃতি দেওয়াই শুধু নয়, মাস্কটি বাজারজাত করার জন্য দিগন্তিকার কাছে থেকে অনুমতি নিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রযুক্তিমন্ত্রক। অন্তত তেমনই দাবি পরিবারের লোকেদের। নয়া এই মাস্ক চিকিৎসক, নার্স ও সাধারণ মানুষের বিশেষ সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

আরও পড়ুন: করোনা উপসর্গ সহ হাসপাতালে ভর্তি সল্টলেকের আরও ১, আতঙ্কে এলাকার সমস্ত গলি বন্ধ করল বাসিন্দারা

আরও পড়ুন: অত্যাধুনিক স্যানিটাইজার মেশিনে জীবাণুমুক্ত হবে শরীর, নয়া আবিষ্কার রায়গঞ্জের যুবকের

বঙ্গ তনয়ার আবিষ্কৃত মাস্ক কীভাবে কাজ করে?  দুটি অংশে বিভক্ত এই মাস্কে রয়েছে দুটি একমুখী ভাল্ব ও দুটি আধার। নিঃশ্বাস নেওয়ার সময়ে যেমন বাতাসের ধুলিকণা, জলকণা, ভাইরাস যেমন আটকে যাবে, তেমনি আবার নিঃশ্বাস নেওয়ার সময়ে বাতাস জমা হবে মাস্কের আধারে। এরপর বিশেষ প্রযুক্তিতে বাতাসে মিশে থাকা ভাইরাসটি নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে আর কোনওভাবেই সংক্রমণ ছড়াবার আশঙ্কা থাকবে না। দিগন্তিকার কথায়, 'আমি একাধিক রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু এই অনুভূতি একেবারে অন্যরকম। আমি অভিভূত। দেশের করোনা বিপর্যয়ে এই মাস্ক কাজ করবে। আমার খুবই ভাল লাগছে। কেন্দ্রীয় প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এই স্বীকৃতি আমাকে আরও উত্সাহ যোগাবে। দেশের জন্য কিছু করতে পেরে আমি খুব আনন্দিত।'

 

 

 

উল্লেখ্য, করোনা সতর্কতায় এ রাজ্যে কিন্তু মাস্ক পরা বা মুখ ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেছে সরকার। নবান্ন থেকে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, মাস্কে যদি অসুবিধা হয়, সেক্ষত্রে কাপড়ের টুকরো, রুমাল, এমনকী গাম ব্য়বহার করে মুখ বা নাক ঢেকে রাখা যেতে পারে। 

Share this article
click me!