গোটা রাজ্যে একটি পৌরসভারও দখল করতে পারেনি তারা। যা নিয়ে ক্ষোভ বড়েছে দলের অন্দরেই অনেক ছোট-বড় নেতা এই ব্যর্থতার জন্য শীর্ষ নেতৃত্বের উপরেই দায় ঠেলেছেন।
পৌরসভা ভোটে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে বিজেপি। গোটা রাজ্যে একটি পৌরসভারও দখল করতে পারেনি তারা। যা নিয়ে ক্ষোভ বড়েছে দলের অন্দরেই অনেক ছোট-বড় নেতা এই ব্যর্থতার জন্য শীর্ষ নেতৃত্বের উপরেই দায় ঠেলেছেন। এদিকে গতকালই পুরভোট নিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রশাসনের উপর চাঁচাছালো ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে(BJP's all-India co-president Dilip Ghosh)। এবার মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(BJP state president Sukant Majumder)। এদিকে গতকালই উত্তরপ্রদেশে ফের অখিলেশের সমর্থনে প্রচারে গিয়েছিলেন। সেখানে বিজেপি-র প্রতিরোধের মুখে পড়েন তিনি। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় পাচ্ছেন তাই জন্য উত্তরপ্রদেশে কালো পতাকা দেখানো হচ্ছে।”
এদিন কলকাতা বইমেলায় ২৪৫ নম্বর স্টলে জনবার্তায় স্টলে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখান থেকেই উত্তরপ্রদেশ ইস্যুতে সুকান্ত বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতিতে নেতাদের কাছে প্রাসঙ্গিক হলেও জনগণের কাছে অপ্রাসঙ্গিক। কেউ কাউকে কালো পতাকা দেখাতেই পারে। পশ্চিমবঙ্গে আমাদের বিজেপি নেতারা কালো পতাকা বহুবার দেখেছি। নতুন কিছু নয়। পূর্বতন সভাপতি মাননীয় দিলীপ ঘোষের গাড়ির কাঁচ কতবার ভেঙেছে সেটা আমরা গুনতে গুনতে মনে রাখতে পারি না। স্বাভাবিকভাবেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এটা দেখেন, কিন্তু খবর দেখেন না, সেই অর্থে উনি ভুলে গেছেন বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে গেলে রাজ্যপালের সম্মতির প্রয়োজন রাজ্য সরকারের উচিত রাজ্যপাল যেত সাংবিধানিক পদ সংবিধানের রক্ষাকর্তা তার সাথে সামঞ্জস্য বজায় রেখে কাজ করা উচিত।”
আরও পড়ুন- রাশিয়ান মহাকাশযান থেকে মুছে গেল আমেরিকা-জাপান-ব্রিটেনের পতাকা, রইল ভারতের তেরঙা পতাকা
অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভের মুখে মমতা নিয়ে গতকাল থেকেই উত্তাল এরাজ্যের রাজ্য-রাজনীতি। একাধিক জায়গায় প্রতিবাদে রাস্তায় নামতেও দেখা যায় ঘাসফুল সমর্থকদের।যা নিয়ে আজও উত্তেজনা রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিকে এই ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ওরফে ববি হাকিম বলেছেন, “আমরা যদি চাই বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ করে দেব।” এই প্রসঙ্গে সুকান্তর দাবি, “এই ভাষাটা উগ্রপন্থী তালিবানদের মতো শুনতে লাগছে। ববি বাবুর এতো ক্ষমতা আমাদের জানা ছিল না। জানা উচিত রাজ্যের বাইরে ওনার দলের কোনো অস্তিত্ব নেই। বিজেপির সর্বভারতীয় দল বিজেপি যত মেম্বার আছে সে সংখ্যাটা মনে হয় ববি হাকিম জানে না।” এদিকে এমতাবস্থায় উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক দোলাচল নিয়ে যে বাংলার রাজ্য-রাজনীতিও জমে উঠেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।