বুধবার ঝাড়গ্রাম বিজেপির জেলা কমিটির ঘোষণার পরই ক্ষোভ শুরু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে নতুন কমিটির সহ সভাপতিদের ঝাড়গ্রাম জেলা পার্টি অফিস থেকে বার করে দেয় বিজেপিরই কর্মীরা। এরপর কার্যালয়ের ভিতরে থাকা ফ্লেক্স টেনে ছিঁড়ে ফেলা হয়। তারপর তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় পার্টি অফিসে।
বিজেপি-র (BJP) রাজ্যস্তরের ক্ষোভ ক্রমশ ছড়াচ্ছে জেলাস্তরে। সেই ক্ষোভের আঁচ বৃহস্পতিবার পড়ল ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির অন্দরে (BJP Inner Clash)৷ বুধবারই বিজেপির ঝাড়গ্রাম (Jhargram District) জেলা কমিটির নতুন তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। আর সেই নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকেই বিক্ষোভ (Agitation) শুরু হয় জেলা পার্টি অফিসে (Party Office)। দলের নতুন কমিটিকে মেনে নিতে পারেনি দলেরই কর্মীদের একটা গোষ্ঠী। বুধবার রাত থেকেই শুরু হয় গন্ডগোল। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে ঝাড়গ্রাম জেলা পার্টি অফিসে তালা লাগায় কর্মীরা। একই ভাবে গোপীবল্লভপুরেও বিজেপি কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দলের পোস্টার ব্যানার (Party Poster Banner) সব ছিঁড়ে ফেলে বিজেপির একদল কর্মী ৷ ঝাড়গ্রাম জেলা কার্যালয়ের সামনে দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই অবস্থান বিক্ষোভে বসেন তাঁরা। দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন বিজেপির কর্মীরা। পরে প্রাক্তন জেলা সভাপতির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বুধবার ঝাড়গ্রাম বিজেপির জেলা কমিটির ঘোষণার পরই ক্ষোভ শুরু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে নতুন কমিটির সহ সভাপতিদের ঝাড়গ্রাম জেলা পার্টি অফিস থেকে বার করে দেয় বিজেপিরই কর্মীরা। এরপর কার্যালয়ের ভিতরে থাকা ফ্লেক্স টেনে ছিঁড়ে ফেলা হয়। তারপর তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় পার্টি অফিসে। দলের জেলা পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে সামনে বিজেপির পতাকা হাতে নিয়ে বসে দলের নতুন নেতাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন একাধিক কর্মী। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচন, লোকসভা নির্বাচন এবং বিধানসভা নির্বাচনে যেসব বিজেপি নেতা-কর্মীরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দলের জন্য লড়াই করেছে তাঁদের নতুন কমিটি থেকে বাদ দিয়ে বর্তমান জেলা সভাপতির অনুগামীদের নিয়ে নতুন জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ ঝামেলা চলার পর ঘটনাস্থানে যান প্রাক্তন জেলা সভাপতি সুখময় সতপথী। তাঁর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কার্যালয় থেকে তালা খোলা হয়। দলের কর্মীদের দীর্ঘক্ষণ বোঝানোর চেষ্টা করেন সুখময় ৷
আরও পড়ুন- 'ঘোরাফেরার স্বাধীনতা নেই রাজ্যে', রাজ্যপাল ও মানবাধিকার কমিশনকে চিঠি শুভেন্দুর
তাঁর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হওয়ার পর ওই তালা ঝোলানো প্রসঙ্গে সুখময় সতপথী বলেন, "বিজেপি পার্টি অফিসে তালা লাগানো নতুন কিছু নয়। দলের কর্মীরাই লাগিয়েছিলেন। আবার তাঁরাই খুলে দিয়েছেন। তৃণমূল পার্টি অফিসে তো তালা লাগায়নি। এটা এমন কোনও বিষয় নয় ৷ দলের নতুন কমিটি তৈরি হলে এমনটা হয়েই থাকে। আমরা দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিচ্ছি।"
আরও পড়ন- বাড়ছে স্কুলছুটদের সংখ্যা, স্কুল খোলার দাবিতে হাইকোর্টে মামলা শিক্ষকের
অন্যদিকে ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর দলীয় কার্যালয়েও একই ভাবে তালা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় একদল বিজেপি কর্মী ৷ তাঁদের দাবি, নতুন কমিটির নেতারা কাজের নয়। দলের কাজে তাঁদের ভূমিকা অসন্তোষজনক। ক্ষুব্ধ কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে তালা মেরে বাইরে থাকা দলের পোস্টার ব্যানার সব ছিঁড়ে দেয়।