সংক্ষিপ্ত
রাজ্যপালের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার মানবাধিকার কমিশনেও চিঠি লেখেন শুভেন্দু। চিঠিতে তাঁর দাবি, আইনের রক্ষক হিসেবে তাঁর মৌলিক অধিকার রক্ষার দায়িত্বে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্দেশে তাতে বাধা দিচ্ছে রাজ্য পুলিশ।
রাজ্যে অবাধে ঘোরাফেরা করতে পারছেন না তিনি। বার বার বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। এর জেরে খর্ব হচ্ছে তাঁর মৌলিক অধিকার। এমনটাই দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এনিয়ে যথাযথ পদক্ষেপের জন্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (National Human Rights Commission of India) দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। এই মর্মে অভিযোগ জানিয়ে তিনি চিঠি দিয়েছেন।
রাজ্যপালের (Governor) পাশাপাশি বৃহস্পতিবার মানবাধিকার কমিশনেও চিঠি লেখেন শুভেন্দু। চিঠিতে তাঁর দাবি, আইনের রক্ষক হিসেবে তাঁর মৌলিক অধিকার রক্ষার দায়িত্বে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্দেশে তাতে বাধা দিচ্ছে রাজ্য পুলিশ (West Bengal Police)। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তাঁকে বার বার পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর দাবি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিকরা তাঁর অবাধে ঘোরাফেরায় বাধার সৃষ্টি করছেন। এই অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবন (Bikash Bhavan) অভিযানের সময় যে তাঁকে পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল সেকথাও চিঠিতে জানান তিনি।
আরও পড়ুন- 'কমিউনিস্টরা কাউকে ওপরে উঠতে দেয়নি, বুদ্ধদেবকেও পদ্মশ্রী নিতে দিল না', বিস্ফোরক দিলীপ
উল্লেখ্য, স্কুল খোলার (School Reopen) দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে শিক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, তাঁকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। সেই সময় তাঁর সঙ্গে বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul)-সহ অন্যান্য বিজেপি বিধায়করাও ছিলেন। প্রতিবাদে রাস্তার উপর বসে পড়েন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ,‘শিক্ষাতন্ত্র এখন দলতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে তৃণমূল সরকার। ২০০ জনকে নিয়ে বিয়েবাড়ি চালানোর অনুমতি দিতে পারে আর ৩০ জনকে নিয়ে স্কুল খোলার অনুমতি দিতে পারে না? মদের দোকান খোলা রয়েছে কিন্তু স্কুল খুলতেই যত সমস্যা? মুখ্যমন্ত্রীর পদের গরিমা নষ্ট করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।’
এই ঘটনার কথা চিঠিতে উল্লেখ করেন শুভেন্দু। তিনি লেখেন, "রাজ্যে ঘোরাফেরার ক্ষেত্রে বার বার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের দ্বারা বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। আজও বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় সল্টলেকে একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলাম। বিকাশ ভবনের ঠিক বাইরে বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি আইপিএস উমেশ গণপতের নেতৃত্বে প্রায় একশো পুলিশকর্মী আমাদের পথ আটকে দাঁড়ান।" তবে বাধা দেওয়া নিয়ে পুলিশ সঠিক কোনও উত্তর দিতে পারেনি বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু।
আরও পড়ন- বাড়ছে স্কুলছুটদের সংখ্যা, স্কুল খোলার দাবিতে হাইকোর্টে মামলা শিক্ষকের
তবে শুধুমাত্র বিকাশ ভবনই নয়, চলতি মাসে কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নেওয়ার পরও নেতাইয়ে ঢুকতে পারেননি তিনি। সেখানে পুলিশি বাধার মুখে তাঁকে পড়তে হয়েছিল। সেকথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, রাজ্যের বিরোধী দলনেতারই যদি অবাধে ঘোরাফেরার স্বাধীনতা না থাকে এবং এভাবে বার বার অপমানিত হতে হয়, তবে সাধারণ মানুষের বা বিরোধীদের অবস্থা সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে। দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য রাজ্যপাল ও মানবাধিকার কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।