দুই বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন, আর ফেরেননি। তিনদিন পুকুর থেকে যুবকের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির ধনেখালিতে। কিন্তু কীভাবে মারা গেলেন ওই যুবক? তাঁকে খুনের অভিযোগ করেছেন পরিবারের লোকেরা।
আরও পড়ুন: ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসার পরিচয়ে প্রধানশিক্ষিকাকে 'হুমকি', গ্রেফতার যুবক
মৃতের নাম সুজন দাস। বাড়ি, হুগলিরই গুড়াপের রোহিয়া গ্রামে। মঙ্গলবার সকালে ধনেখালির দুলেপাড়া গ্রামের একটি পুকুরে তাঁর মৃতদেহটি ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে পুকুর থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সুজনের পরনে প্যান্ট থাকলেও, গায়ে কোনও জামা ছিল না।
আরও পড়ুন: চাকরির নামে গৃহবধূর সঙ্গে কয়েক হাজার টাকার প্রতারণা, পুলিশের জালে কনস্টেবল
পরিবারের লোকেদের দাবি, রবিবার হরিপালে এক বন্ধুর বাড়ি যাবে বলে বেরিয়েছিলেন সুজন। তাঁর সঙ্গে আরও দু'জন বন্ধু ছিল। কিন্তু, বাকী বাড়ি ফিরলেও, ওই যুবকের আর কোনও খোঁজ মিলছিল না। ঘটনার রাতে যখন শেষবার সুজনের সঙ্গে তাঁর বাবার ফোনে কথা হয়, তখন তিনি জানান, ধনেখালির মদনমোহনতলা এলাকায় রয়েছেন। কোথায় গেল বছর চব্বিশের ওই যুবক? মৃতের বন্ধুরা বাড়ির লোককে জানিয়েছিলেন, ধনেখালির মদনমোহনতলা এলাকার একটি পুকুরে পড়ে গিয়েছেন তিনি! অন্তত তেমনই দাবি করেছেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু ঘটনা হল,পরের দিন অর্থাৎ সোমবার জাল ফেলা হয় সেই পুকুরে, কিন্তু সুজন দাসকে পাওয়া যায়নি। শেষপর্যন্ত মঙ্গলবার সকালে ধনেখালির দুলোপাড়া গ্রামের একটি পুকুরে মিলল তাঁর দেহ।