সংক্ষিপ্ত
- প্রয়াত জিয়ানা চানা
- মৃত্যকালে বয়স হয়েছিল ৭৬
- বিশ্বের সর্ববৃহৎ পরিবারের প্রধান
- তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন মিজো মুখ্যমন্ত্রী
৩৯ জন স্ত্রী আর ৯৪ জন সন্তানকে রেখে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বিশ্বের সবথেকে বড় পরিবারের প্রধান জিয়ানা চানা। রবিবার তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। উচ্চ রক্তচাপ আর জায়াবেটিসের কারণের তাঁর শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। আইজলের ট্রিনিটি হাসপাতালে ভর্তী করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও শেষরক্ষা হল না।
জিয়ানা জুন মাস থেকেই অসুস্থছিলেন। কিছু খেতে পারছিলেন না। শারীরিক সমস্যার জন্য তিনি কিছুই খেতে পারছিলেন না। ১১ জুন থেকে থেকে জ্ঞান হারাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় স্থানীয় কয়েকজন চিকিৎসককে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। জটিলতার কারণে তাঁরাই জিয়ানাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটেই রবিবার দুপুর ২টো ৫০ মিনিটে মৃত্যু হয় বিশ্বের সর্ববৃহৎ পরিবারের প্রধান সদস্যের।
GST ঠিক করে কাউন্সিল, প্রধানমন্ত্রী মোদী নন, জহর সরকারকে কড়া উত্তর কাঞ্চন গুপ্তার ...
জিতিন প্রসাদের পর কী শচীন পাইলট, দিল্লি সফর নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে জল্পনা তুঙ্গে ...
৬ বছরের নাতির সমানে ধর্ষিতা ঠাকুমা, ভোট পরবর্তী হিংসার ভয়াবহতা এবার সুপ্রিম কোর্টে ..
জিয়ানা চ ছিলেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। চানা পল সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ার কারণেই তাঁর বহুগামী হওয়াতে কোনও ধর্মীয় বাধা ছিল না। তাঁর পরিবারের প্রায় ৪০০ জন সদস্য রয়েছে বলেও জানা গেছে। জিয়ানার ১৪ জন পুত্রবধূ, ৩৩ জন নাতি-নাতনি আর একজন প্রপৌত্রী রয়েছেন। সমস্ত পরিবারটি পাহাড়ের মাঝে চার তলা বিশিষ্ট ১০০টি ঘরের একটি বিশাল বাড়িতেই একত্রে বসবার করে। যা এযুগে বিরল। মিজোরামের পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুও ছিলেন এই ব্যক্তি। রাজ্যে ভ্রমণকারী পর্যটকদের একটি বড় অংশই যেত বকতাওং তলাংনুমের গ্রামে জিওনার পরিবারের সদস্যদের দেখতে। জিওয়ানে নিয়ে একাধিক অনুষ্ঠান ও তথ্যচিত্রও নির্মাণ করা হয়েছে। জিওনার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথঙ্গা।