উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার খড়ের মাঠ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে বাংলাদেশের দুই মহিলাকে আটক করেছিল বিএসএফের ১৫৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা।
এক বাংলাদেশি মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক বিএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে। ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে জওয়ানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- রাজনীতি ছাড়তে পারেন বাবুল সুপ্রিয়, পোস্ট ঘিরে বাড়ছে জল্পনা
উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার খড়ের মাঠ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে বাংলাদেশের দুই মহিলাকে আটক করেছিল বিএসএফের ১৫৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা। ওই এলাকায় টহল দেওয়ার সময় তাদের হাতেনাতে ধরা হয়েছিল বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ওই দুই মহিলা বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন তাঁরা। এরপর গুজরাটে শাড়ির ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু, করোনার জেরে সম্প্রতি ব্যবসায় ভাটা পড়েছিল। তারপরই তাঁরা ফের বাংলাদেশে ফেরার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেই মতো ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁরা খড়ের মাঠ এলাকায় গিয়েছিলেন। আর ঠিক সেই সময় তাঁদের ধরে ফেলেছিলেন জওয়ানরা। তাঁদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন- পায়রা চোর সন্দেহে নাবালক স্কুল পড়ুয়াকে বাড়িতে আটকে রেখে গণধোলাই
অভিযোগ, বিএসএফের হেফাজতে থাকাকালীন সেখানেই দুই মহিলার একজনকে শ্লীলতাহানি ও অন্যজনকে ধর্ষণ করেন কর্তব্যরত বিএসএফের এসআই রামেশ্বর কয়াল। নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে গাইঘাটা থানার পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। মেডিকেল টেস্টের পর বিচারকের সামনে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। ওই মহিলাকে দু দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। অন্যদিকে, অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ানকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। যদিও এই বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি বিএসএফ।