কমিশনের তরফে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ৩ অগাস্ট থেকে ফার্স্ট লেভেল চেকিং প্রক্রিয়া শুরু হবে। ভবানীপুর, খড়দহ, শান্তিপুর, দিনহাটা এবং গোসাবা এই পাঁচ বিধানসভা কেন্দ্রে ৬ অগাস্টের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে উপনির্বাচনের প্রয়োজন নেই বলে নিয়ে বলে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। এদিকে বঙ্গের ৫ আসনে উপনির্বাচন পূর্ববর্তী প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, আজ থেকেই ভবানীপুর-সহ মোট ৫ টি বিধানসভা কেন্দ্রে ফার্স্ট লেভেল চেকিং শুরু হচ্ছে। এর আগে জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী জেলাগুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের চিঠি পাঠিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। ভিভিপ্যাট ও ইভিএম পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। আর এবার ফার্স্ট লেভেল চেকিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর সেই কারণেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের অনুমান, শীঘ্রই উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন- আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে প্রতারণা, নিউটাউনে গ্রেফতার ব্যক্তি
কমিশনের তরফে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ৩ অগাস্ট থেকে ফার্স্ট লেভেল চেকিং প্রক্রিয়া শুরু হবে। ভবানীপুর, খড়দহ, শান্তিপুর, দিনহাটা এবং গোসাবা এই পাঁচ বিধানসভা কেন্দ্রে ৬ অগাস্টের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এর ফলে রাজনৈতিক দলগুলির উপস্থিতিতে ত্রুটিপূর্ণ ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট বদল করা হয়। আর এই প্রক্রিয়া চলাকালীন সব রাজনৈতিক দলের দু'জন করে প্রতিনিধিকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়া এতটা দ্রুত শুরু করে দেওয়ার ফলেই শীঘ্রই উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিম্নমুখী। সূত্রের খবর, সেই কারণে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে চলতি মাসের শেষে বা সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারে কমিশন। অক্টোবরের আগেই ৫ কেন্দ্রের উপনির্বাচন এবং দুই কেন্দ্রের নির্বাচন সেরে ফেলা হতে পারে। তবে সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে এফএলসি হচ্ছে না। কারণ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই সেখানে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল। তাই এবার সেখানে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচনই করা হবে।
আরও পড়ুন- পুলিশ পরিচয়ে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়েছিলেন লক্ষাধিক টাকা, পর্ণশ্রী থেকে ধৃত ১
নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, সামান্য ভোটের ব্যবধানে তিনি হেরে যান। এদিকে ভবানীপুর থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়। কিন্তু, পরে সেই পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। ফলে সেই কেন্দ্র থেকে এবার উপনির্বাচনে লড়বেন মমতা। খড়দা এবং গোসাবাতেও জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। কিন্তু পরে তাঁদের দু’জনেরই মৃত্যু হয়। এছাড়া, শান্তিপুর ও দিনহাটায় জয়ী হন বিজেপির দুই সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও নিশীথ প্রামাণিক। পরে সাংসদ পদ ধরে রাখার জন্য তাঁরা ইস্তফা দেন। ফলে সেখানেও উপনির্বাচন হবে। এদিকে বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল জঙ্গিপুর এবং সামসেরগঞ্জের দুই প্রার্থীর। ফলে তখন এই দুই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। আর এবার এই দুই কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন হবে।