সংক্ষিপ্ত

কয়েক মাস আগেই লক্ষাধিক লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছিল ৭০ মিটার রাস্তা। কিন্তু, ছ'মাস যেতে না যেতেই বৃষ্টির ফলে ধসে গেল ওই রাস্তার অর্ধেক অংশ। বাকি অংশে তৈরি হয়েছে বড় ফাটল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় মালদহর হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুরে।

রাস্তা ভাঙা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা। এনিয়ে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করলে তাঁদের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ, ঠিকাদার তথা যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েতের কাজ এবং ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। রাস্তা নির্মাণে দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস। যদিও এসব কংগ্রেসের চক্রান্ত বলে দাবি তৃণমূলের। পাশাপাশি তৃণমূলকেও আক্রমণ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস। 

 

কয়েক মাস আগেই লক্ষাধিক লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছিল ৭০ মিটার রাস্তা। কিন্তু, ছ'মাস যেতে না যেতেই বৃষ্টির ফলে ধসে গেল ওই রাস্তার অর্ধেক অংশ। বাকি অংশে তৈরি হয়েছে বড় ফাটল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় মালদহর হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুরে। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামের বাসিন্দারা। অন্যদিকে ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিডিও। 

আরও পড়ুন- 'আরও বড় খেলা হবে', নেতাজি ইন্ডোর থেকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই রাস্তা নির্মাণের ঠিকাদারি পেয়েছিলেন তৃণমূল নেতার ভাই। এই রাস্তা নির্মাণের সময় কাটমানি খেয়েছেন একাধিক তৃণমূল নেতা। মহেন্দ্রপুরে বিরাট জলাশয়ের পাশে বাঁধের মত উঁচু জায়গায় ঢালাই রাস্তা করার বরাত দেওয়া হয়। কিন্তু, ছয় মাসের মধ্যেই সেই রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে। আচমকাই রাস্তার অর্ধেক অংশ ধসে গিয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে বাকি অংশও ধসে যেতে পারে। সম্ভাবনা রয়েছে বড় দুর্ঘটনার। তাই এই পথ দিয়ে যাতায়াত প্রায় বন্ধ। 

মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসে বড় ধস, অধীরের দিল্লি থাকার সুযোগে হাত বাড়ত তৃণমূল

এদিকে নব নির্মিত রাস্তা এভাবে ধসে যাওয়ার পরেই এলাকায় যান যুব তৃণমূল নেতা। আর তাঁকে ঘিরে করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামের বাসিন্দারা। শুরু হয় হাতাহাতি। প্রকাশ্য়ে স্থানীয়দের গালিগালাজ করেন ওই নেতা। তারপর দলের অন্য নেতারা ঘটনাস্থানে এসে পরিস্থিতির সামাল দেন। সদ্য তৈরি হওয়া রাস্তা এভাবে ভেঙে পড়ায় ক্ষুব্ধ ব্লক প্রশাসনও। ইতিমধ্যেই ঠিকাদার স্বংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাত ধরেই E-RUPIর সূচনা, নতুন ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহার করার উপায় জানুন

স্থানীয় বাসিন্দা উমিমুল হক বলেন, "যখন রাস্তার কাজ হচ্ছিল তখন যদি মাটি ফেলে কাজ করা হত তাহলে এমন হত না। কিন্তু, সেটা হয়নি। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ হয়েছে। ফলে এইভাবে রাস্তা ভেঙে গেল। আমরা এর প্রতিবাদ জানাতে গেলে আমাদের উপরই চড়াও হচ্ছে। এই দায় পঞ্চায়েতের।"

 

যদিও যুব তৃণমূল সহ-সভাপতি রুস্তম আলি বলেন, "এই রাস্তা ৬ মাস নয় ২ বছর আগে তৈরি করা হয়েছে। কয়েকদিন ধরে খুব বৃষ্টি হয়েছে। জলাশয় ভরাট হয়ে বৃষ্টির জল উঠে রাস্তার ভিতরে ঢুকেছে। ফলে রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু রাস্তা নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি হয়নি। এসব কংগ্রেসের চক্রান্ত। নিজেদের অস্তিত্ব হারিয়ে গিয়েছে তাই মিথ্যা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।"

পাল্টা কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি আব্দুস শুভান বলেন, "তৃণমূলের নেতারাই এখন ঠিকাদার। আর তৃণমূলের নেতারা ঠিকাদার হলে কি রকম কাজ হবে সেটা সবাই জানে। কাটমানি ছাড়া কোনও কাজ হয় না। এই রাস্তা এলাকার অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা। যা ভেঙে যাওয়ার ফলে বহু মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এতটাই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ হয়েছে যে ছয় মাসের মধ্যে রাস্তা ভেঙে পড়ল। আমরা এর প্রতিবাদ করতে গেলে উন্নয়ন বাহিনী আমাদের উপর চড়াও হচ্ছে। পাল্টা আমাদেরকেই হুমকি দিচ্ছে।"

লাদাখ ইস্যুতে রণে ভঙ্গ দিচ্ছে চিন, বিজ্ঞপ্তি জারি করে যৌথ বিবৃতির কথা জানাল ভারত

হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের জয়েন্ট বিডিও বিপ্লব কুমার ঘোষ বলেন, "এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ পাইনি। কিন্তু আমরা আমাদের সূত্র মারফত জানতে পেরেছি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে। কেন কিছুদিনের মধ্যেই নতুন রাস্তা ভেঙে গেল তা দেখছি। যদি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ হয় সে ক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"


YouTube video player