কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। সেখানেই মেলে বড় স্বস্তি। হাইকোর্টের তরফে শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ দিয়ে বলা হয়, এখনই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না। তাঁর বিরুদ্ধে যতগুলি মামলা রয়েছে তাতে তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না।
দেহরক্ষীর মৃত্যু মামলায় আজ ভবানীভবনে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে হাজিরা দেননি তিনি। সিআইডি আধিকারিকদের মেল পাঠিয়ে জানিয়ে দেন, যে আজ দিনভর একাধিক কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকায় হাজিরা দিতে পারবেন না। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। সেখানেই মেলে বড় স্বস্তি। হাইকোর্টের তরফে শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ দিয়ে বলা হয়, এখনই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না। তাঁর বিরুদ্ধে যতগুলি মামলা রয়েছে তাতে তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। গ্রেফতার করতে হলে আদালতের অনুমতি লাগবে।
দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর মৃত্যু মামলার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় আজই ভবানীভবনে শুভেন্দুকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সূত্রের খবর, আগে থেকে প্রশ্নও ঠিক করে রেখেছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু, হাজিরা দিতে পারবেন না বলে মেল করে জানান শুভেন্দু। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।
আরও পড়ুন- রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকবেন, আজ ভবানীভবনে হাজিরা দিচ্ছেন না শুভেন্দু
এই মুহূর্তে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা চলছে। তাঁর আইনজীবীর তরফে হাইকোর্টে জানানো হয়, পাঁচটি বিচারাধীন মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হোক অথবা সেগুলি সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হোক। আইনজীবীর প্রশ্ন, যে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন সেখানে কীভাবে শুভেন্দু অধিকারীকে হাজিরা দিতে বলে তদন্তকারী সংস্থা। এরপর তিনটি মালায় স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। তবে বাকি দুটি মামলা চলবে। তবে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।
পাশাপাশি, আদালতের তরফে এও জানানো হয়, জনপ্রতিনিধি হওয়ায় সময় অনুযায়ী শুভেন্দু অধিকারীকে তদন্তের স্বার্থে ডাকা যেতে পারে। ভবিষ্যতেও কোনও মামলার প্রেক্ষিতে শুভেন্দুকে গ্রেফতার করতে হলে বা কড়া পদক্ষেপ নিতে হলে আদালতের অনুমতি লাগবে।
আরও পড়ুন- সাত সকালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে আগুন, ছড়ায় আতঙ্ক
তবে শুভেন্দু হাজিরা না দিলেই এই তদন্ত করা বন্ধ করবেন না রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা। কাঁথিতে গিয়ে ফের এই ঘটনায় তল্লাশি করতে পারেন তাঁরা। এছাড়া এনিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা ঠিক করতে বৈঠকে বসতে পারেন তদন্তকারীরা।