গভীর রাতে হালিশহর এইচকে ভট্ট রোড এলাকার হালিশহর পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অশোক কুমার যাদব গাড়ি লক্ষ করে পরপর দুটি বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। সেই সময় বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করছিলেন তিনি।
মিটেছে পৌরসভা ভোট। গোটা রাজ্যেই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল-কংগ্রেস। কিন্তু তারপরেও কমছে না রাজনৈতিক হিংসা। এবার একটি বোমাবাজির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল হালিশহরে। সূত্রের খবর, এদিন গভীর রাতে হালিশহর এইচকে ভট্ট রোড এলাকার হালিশহর পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অশোক কুমার যাদব গাড়ি লক্ষ করে পরপর দুটি বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। সেই সময় বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করছিলেন কাউন্সিলর অশোক যাদব।
হঠাৎ বোমের শব্দ কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। তখনই কাউন্সিলর বাইরে এসে দেখতে পান তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে দুটো অজ্ঞাতপরিচয় যুবক বোম ছুঁড়ে পালাচ্ছে। দুজনেই বাইকে ছিল। কিন্তু অন্ধকার থাকায় কাউকেই চিনতে পারেননি তিনি। এদিকে গভীর রাতে বোমার কানফাটা আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় অনেকের। তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকা। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নৈহাটি থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে জোরদার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কথা বলা হয়েছে কাউন্সিলর অশোক যাদব ও তাঁর প্রতিবেশীদের সঙ্গেও। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- রাশিয়ান মহাকাশযান থেকে মুছে গেল আমেরিকা-জাপান-ব্রিটেনের পতাকা, রইল ভারতের তেরঙা পতাকা
এদিকে এর আগেও হালিশহরে বোমাবাজির ঘটনায় একাধিক বার উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এমনকি শহরে এসেছেন NIA-এর প্রতিনিধি দলও। সম্প্রতি নৈহাটি থানার হালিশহর কোনো মোড়ের জগন্নাথ ঘাটের ধারে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে নামে এনআইএয়ের প্রতিনিধি দল। গত মাসেই চার সদস্যের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। ঘটনাস্থল থেকে তারা বেশকিছু নমুনা সংগ্রহ করেন। তদন্তকারীরা জানান, বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত ভার তারা হাতে নিয়েছেন। গভীরভাবে ঘটনার তদন্ত করবেন। প্রসঙ্গত, গত ২৭ জানুয়ারি বিকেলে বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছিল জগন্নাথ ঘাটের পাড়। সেখানে কয়েকজন কিশোর ক্রিকেট প্রতিযোগিতার জন্য বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করছিল। বাঁশ পুঁততে গিয়েই বিপত্তি। মাটির তলায় লুকিয়ে রাখা বোমা ফেটে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল ১৯ বছরের সুমিত সিংয়ের। তার দুই সঙ্গী রোহিত সিং ও রোহিত চৌধুরী এখনও নিখোঁজ। এই বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে অকুস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তদন্তকারীরা।