স্বপ্নের নায়ককে সামনে দেখবে তারা। কিন্তু স্বপ্নের নায়কের উপহারটাও তো হতে হবে মনের মতো। বিরাট কোহলির জন্য তাই রাত জেগে নিজেদের মনের মতো উপহার তৈরি করে ফেলল সোনারপুরর আপনজন আনন্দঘর অনাথ আশ্রমের আবাসিক শিশুরা। ২৫৪টি গোলাপ দিয়ে নিজেদের হাতে তৈরি করা বিশেষ পুষ্পস্তবক তৈরি করেছিল ওই শিশুরা।
কলকাতায় ঐতিহাসিক পিঙ্ক টেস্ট খেলতে এসে এ দিন সকালেই সোনারপুরের ওই আশ্রমে যান বিরাট। মূলত একটি বিজ্ঞাপনের শ্যুটিংয়েই ওই আশ্রমে গিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক। বিজ্ঞাপনে তাঁকে সান্টা ক্লজের চরিত্রে দেখা যাবে। এ দিন সত্যিকারেরই যেন সান্টা ক্লজের মতোই এইচআইভি আক্রান্ত ওই শিশুদের মুখে হাসি ফোটালেন বিরাট। তাদের সঙ্গেই সারলেন প্রাতরাশ। সবমিলিয়ে স্বপ্নের নায়কের সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টা কাটাল ওই শিশুরা। যাওয়ার আগে তাঁদের সঙ্গে সেলফি তুলে ইডেন টেস্ট দেখতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে গেলেন বিরাট। হাসিমুখে গ্রহণ করলেন শিশুদের হাতে তৈরি ২৫৪টি গোলাপের পুস্পস্তবক। সঙ্গে উপহার হিসেবে ছিল বাংলার চা, চানাচুর এবং মা দুর্গার ছবি। বিরাটও অবশ্য উপহার নিয়ে এসেছিলেন আশ্রমের আবাসিক শিশুদের জন্য।
কিন্তু ২৫৪টি গোলাপের পুস্পস্তবক কেন দেওয়া হল বিরাটকে? আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা অঞ্জন ঘোষ জানিয়েছেন, গত অগাস্ট মাসেই পুণেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টে অপরাজিত ২৫৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বিরাট। টেস্ট ম্যাচে যা তাঁর ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর। সেই ইনিংসকে সম্মান দিয়েই ২৫৪টি গোলাপের পুষ্পস্তবক তৈরি করে শিশুরা।
আরও পড়ুন- সোনারপুরের অনাথ আশ্রমে বিরাট, এইচআইভি আক্রান্ত শিশুদের আপন করে নিলেন কোহলি, দেখুন ভিডিও
শিশুদের সঙ্গে এ দিন শিশুর মতোই মিশে গিয়েছিলেন বিরাট। তাদের সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন, হাসি ঠাট্টায় মেতে উঠেছেন। যাওয়ার আগে সবাইকে ডেকে নিয়ে ছবিও তুলেছেন ভারত অধিনায়ক। তার সঙ্গে একটা প্রতিশ্রুতিও আদায় করে নিয়ে গিয়েছেন এইচআইভি আক্রান্ত শিশুদের থেকে। অঞ্জনবাবু বলেন, 'বিরাটকে ওরা কথা দিয়েছে, সময়মতো সব ওষুধ খাবে। বড় হয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচবে। বিরাটকে আমরা বলেছি, বাইশ গজে ওঁর লড়াই কীভাবে প্রতি মুহূর্তে জীবন যুদ্ধে লড়তে থাকা এই শিশুগুলিকে অনুপ্রাণিত করে।'
ইডেনের পিঙ্ক বল টেস্টে দেখতে যাওয়ার জন্যও ওই শিশুদের আমন্ত্রণ জানিয়ে গিয়েছেন বিরাট। এমনিতেই ঐতিহাসিক টেস্টে দুই টিমের খেলোয়াড়দের হাত ধরে মাঠে নিয়ে যাবে ওই হোমের শিশুরা। জাতীয় সংগীতের সময়ও থাকবে তারা। তার আগেই স্বপ্নের নায়ককে হাতের নাগালে পেয়ে গেল হোমের আবাসিকরা।