কৌশিক সেন, রায়গঞ্জ: তদন্ত শেষ, হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যু মামলায় এবার চার্জশিট দাখিল করল সিআইডি। বিধায়ককে আত্মহত্যার প্ররোচনায় দেওয়ার অভিযোগ দু'জনকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের বিরুদ্ধে শনিবার চার্জশিট পেশ করা হল রায়গঞ্জে আদালতে।
আরও পড়ুন: পুলিশের চাকরি ছেড়ে সবজি বিক্রি করুন, ওসি-আইসি-দের সরাসরি চ্যালেঞ্জ দিলীপ ঘোষের
ঘটনার সূত্রপাত জুলাই মাসে। সাতসকালে হেমতাবাদের বালিয়া গ্রামে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বন্ধ দোকান বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের লোকেরা। তাঁদের দাবি, ঘটনার আগের দিন রাতে বিধায়ককে বাড়ি থেকে ডেকে যায় কয়েকজন যুবক। পরিকল্পনামাফিক খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বামীর মৃত্যুতে দাবিতে হাইকোর্টে মামলা করেন নিহত বিধায়কের স্ত্রী চাঁদিমা রায়। সেই আবেদন খারিজ করে সিআইডিকে তদন্তভার দেয় আদালত। এরপর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। মামলাটির এখনও নিষ্পত্তি হয়নি।
এদিকে নিহত বিধায়কের সুইসাইড নোটের সূত্র ধরে তদন্ত চালিয়ে যায় সিআইডি। এমনকী, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, দেবেন্দ্রনাথ রায়ের শরীরের কোনও আঘাতে চিহ্ন নেই। ঝুলন্ত অবস্থায় শ্বাসরোধ হওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে। আত্মহত্যাই করেছেন তিনি। কিন্তু কেন? বিধায়ককে আত্মহত্যায় প্ররোচনায় দেওয়ার অভিযোগ নিলয় সিংহ ও মামুদ আলি নামে দু'জনকে গ্রেফতারও করা হয়। তদন্তকারীদের দাবি, সুইসাইড নোটে ধৃতদের নাম ছিল। ওই দু'জনের বিরুদ্ধে এবার আদালতে চার্জশিট দিলেন রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: নলকূপের গর্তে টগবগ করে ফুটছে জল, পাঠকাঠি দিলেই জ্বলছে আগুন, বনগাঁয় রহস্য
সিআইডি-এর চার্জশিট নিয়ে অবশ্য চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রয়াত বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের স্ত্রী চাঁদিমা রায়। তিনি বলেন, 'আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। আমি খুনের মামলা দায়ের করেছিলাম। সিআইডি যে চার্জশিট দিয়েছে, তা ঠিক নয়।' বিধায়কের মৃত্যুতে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে চার্জশিট পেশ করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি নেতৃত্বও।