দেহরক্ষীর মৃত্যুর তদন্ত করবে সিআইডি, ডাকা হতে পারে শুভেন্দুকেও

প্রায় তিন বছর আগে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তৎকালীন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষীর। সেই মৃত্যু নিয়ে একাধিক ধোঁয়াশা রয়েছে সুপর্ণাদেবীর মনে। সেই ঘটনার তদন্ত করবে সিআইডি। 

Asianet News Bangla | Published : Jul 12, 2021 6:50 AM IST / Updated: Jul 12 2021, 12:48 PM IST

২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর। এই খুনের ঘটনার তদন্তভার নিল সিআইডি। মৃত দেহরক্ষীর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলতে আজই তাঁদের বাড়িতে যেতে পারেন গোয়েন্দারা। 

প্রায় তিন বছর আগে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তৎকালীন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষীর। সেই মৃত্যু নিয়ে একাধিক ধোঁয়াশা রয়েছে সুপর্ণাদেবীর মনে। আর সেই কারণেই ঘটনার তিন বছর পর পুলিশে এফআইআর দায়ের করেছেন তিনি। গত বুধবারই তিনি এফআইআর দায়ের করেন। আর তার ভিত্তিতে আজ এই ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। 

আরও পড়ুন- দিল্লিতে গা ঢাকা দিয়েও মিলল না রেহাই, স্ত্রী পর্দাফাঁস করার পরই গ্রেফতার ভুয়ো সিবিআই অফিসার

সুপর্ণাদেবী জানিয়েছেন, তিন বছর আগে যেদিন এই ঘটনা ঘটেছিল সেই দিন স্কুলে কাজ করছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর কাছে ফোন আসে। জানতে পারেন যে স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে কাঁথি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছান তিনি। তারপরই চিকিৎসকরা তাঁকে জানান যে শুভব্রতর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছে। তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তর করতে হবে। এরপর অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা করতে শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু, অ্যাম্বুলেন্স পেতে এতটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল যে আর স্বামীকে বাঁচাতে পারেননি তিনি। ফলে কলকাতায় যাওয়ার আগেই শুভব্রতর মৃত্যু হয়।

এখানেই সুপর্ণাদেবীর প্রশ্ন, কেন গুলি চালানো হল, কেনই বা একজন মন্ত্রীর দেহরক্ষী হয়ে অ্যাম্বুলেন্স পেতে দেরি হল। তাহলে কি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই সেদিন অ্যাম্বুলেন্স দেরিতে এসেছিল? এই ধরনের একাধিক প্রশ্ন বছরের পর বছর নিজের মনের মধ্যে চেপে রেখেছিলেন তিনি। অবশেষে সেই রহস্য উদঘাটন করতেই অভিযোগ দায়ের করেন। 

আরও পড়ুন- 'ব্যস্ত' থাকায় রবিতে দিলীপকে সময় দিতে পারেননি নাড্ডা, সোমে হতে পারে বৈঠক

তবে ঘটনা ২০১৮ সালে ঘটলেও এতদিন পর কেন এফআইআর দায়ের করলেন সুপর্ণাদেবী তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই একাধিক বিষয় নিয়ে তাঁর মনে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, শুভেন্দু অধিকারী প্রভাবশালী মানুষ, তাই প্রথমেই তিনি মুখ খুলতে পারেননি। তবে এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। তাই এখন মুখ খোলার সাহস পেয়েছেন। 

আরও পড়ুন- ভেস্তে গেল ছিনতাইয়ের প্ল্যান, লাটাগুড়ির রাস্তায় যাত্রীদের হাতে ধরা পড়ল জ্যান্ত ভুত

এই ঘটনা প্রসঙ্গে শুভেন্দুর বক্তব্য, নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর খেসারত দিতে হচ্ছে তাঁকে। তবে মুখ্যমন্ত্রী চাইলে তিনি কয়েকদিনের জন্য গিয়ে জেল খেটে আসতে পারেন। এর জন্য এত আয়োজনের কোনও প্রয়োজন নেই। 

Share this article
click me!