সংক্ষিপ্ত
হাওড়ার জগাছায় ভুয়ো সিবিআই অফিসার শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁজ মিলেছিল আগেই। তাঁর বিরুদ্ধে জগাছা থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। যদিও বাড়িতে না থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
গতকাল রাতে দিল্লির এক পাঁচতারা হোটেল থেকে গ্রেপ্তার জগাছার ভুয়ো সিবিআই অফিসার শুভদীপ বন্দোপাধ্যায়। মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে জগাছা থানার পুলিশ তার সন্ধান পায়। ধৃতকে আজ দিল্লির আদালতে ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য তোলা হবে। সে সিবিআই অফিসার সেজে বেকার যুবকদের কেন্দ্রীয় সংস্থায় চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এবং নীল বাতি লাগানো গাড়ি চড়ত বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- 'ব্যস্ত' থাকায় রবিতে দিলীপকে সময় দিতে পারেননি নাড্ডা, সোমে হতে পারে বৈঠক
হাওড়ার জগাছায় ভুয়ো সিবিআই অফিসার শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁজ মিলেছিল আগেই। তাঁর বিরুদ্ধে জগাছা থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। যদিও বাড়িতে না থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। দিল্লির একটি পাঁচতারা হোটেলে গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে গতকাল রাতেই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তাঁকে দিল্লির ওই হোটেল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য আজ দিল্লির আদালতে তোলা হবে তাঁকে।
আরও পড়ুন- ভেস্তে গেল ছিনতাইয়ের প্ল্যান, লাটাগুড়ির রাস্তায় যাত্রীদের হাতে ধরা পড়ল জ্যান্ত ভুত
শুভদীপ বেঙ্গালুরুর একটি প্রাইভেট কলেজ থেকে বিটেক ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছিল। পরিবারের সদস্যরা জানতেন, বিটেক পাশ করার পর তিনি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তবে বেশ কয়েক মাস আগে বিহারের এক বাসিন্দা লালনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। সেই সময় লালনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছিলেন তিনি। অভিযোগ, একসঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের বহু মানুষকে প্রতারিত করেছেন তাঁরা। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন।
এরপর ২০২০ সালে শুভদীপের বিয়ে হয়েছিল। সেই সময় মেয়ের বাড়িকে জানিয়েছিলেন যে বর্তমানে তিনি সিবিআই অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর পদে রয়েছেন। এমনকি, নীল বাতি লাগানো গাড়িতে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করতেন। বিশ্বাস অর্জন করতে আইডেন্টিটি কার্ড থেকে শুরু করে প্রফিডেন্ট ফান্ড সহ একাধিক নথি স্ত্রীকে দেখিয়েছিলেন তিনি। যদিও কয়েক মাস আগেই স্ত্রী জানতে পারেন যে শুভদীপ কোনও সিবিআই অফিসার নন। আদতে ভুয়ো সিবিআই অফিসার সেজে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থায় বেকার যুবকদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেন। তারপরই তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। অবশেষে স্বামীর বিরুদ্ধে জগাছা থানায় অভিযোগ জানান তিনি। তখনই প্রকাশ্যে আসে শুভদীপের পরিচয়। যদিও দিল্লিতে গা ঢাকা দিয়ে থাকায় সেই সময় তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে ছেলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠার পরই ক্ষোভপ্রকাশ করেন শুভদীপের মা। সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে ফোন করেন তিনি। ছেলেকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন। এমনকী, এতবড় মিথ্যে বলার জন্য ছেলের ফাঁসির দাবিও জানিয়েছেন তিনি। ছেলের এতবড় মিথ্যে মেনে নিতে পারেননি।
যেখানে দেবাঞ্জনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা রাজ্য। সেখানে ফের এক ভুয়ো সিবিআই অফিসারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। কতজন শুভদীপের প্রতারণার শিকার হয়েছেন তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।