নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার হুগলির গোঘাট, খানাকুলের প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলবেন বন্যাদুর্গতদের সঙ্গেও। তার পাশাপাশি হাওড়ার উদয়নারায়নপুর ও আমতা পরিদর্শন করবেন তিনি। সব জায়গাতে মানুষ সঠিকভাবে ত্রাণ পাচ্ছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখবেন।
কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা। বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। ভিটেমাটি হারিয়েছেন বহু মানুষ। ইতিমধ্যেই ওই এলাকাগুলি পরিদর্শনে মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার নিজেই ওই এলাকাগুলি পরিদর্শন করবেন বলে ঠিক করলেন তিনি। ভারী বৃষ্টির জেরে এখনও বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন। ভিটে হারিয়ে রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন অনেকেই। কেউ আবার মাথাগোঁজার ঠাঁই পেয়েছেন ত্রাণ শিবিরে। চলছে উদ্ধারকার্য। এই পরিস্থিতিতেই বুধবার রাজ্যের বিপর্যস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করবেন মমতা।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার হুগলির গোঘাট, খানাকুলের প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলবেন বন্যাদুর্গতদের সঙ্গেও। তার পাশাপাশি হাওড়ার উদয়নারায়নপুর ও আমতা পরিদর্শন করবেন তিনি। সব জায়গাতে মানুষ সঠিকভাবে ত্রাণ পাচ্ছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখবেন।
আরও পড়ুন- অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলল কাটোয়ায়, ডেকরেটর্স ব্যবসায়ীর বাড়িতে তৈরি হত বন্দুক
আজ সকাল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে করে প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের উদ্ধার করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা দিলীপ যাদব জানান, জলের স্রোত খুব বেশি ছিল। তার ফলে স্পিডবোটে করে সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই বায়ুসেনার কপ্টারকে কাজে লাগাতে হয়েছে।
এখনও জলের তলায় ঘাটাল–চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়ক। অধিকাংশ জায়গায় পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়। তাঁর নির্দেশে সেখানে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
আজ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। ত্রাণ নিয়ে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার ব্যবস্থা করতে মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তাঁদের আর্থিক সাহায্যের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর জন্য তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- শীঘ্রই কি উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হবে, আজ থেকেই প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ কমিশনের
একদিকে ভারী বৃষ্টি আর তার সঙ্গে ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখন জল বাড়ছে ভাগীরথী নদীতে। জলস্ফীতির কারণে বাড়ছে কালনার নদীর দুই পাড়ের ভাঙনও। যে কোনও সময় গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়তে পারে জল। তা নিয়ে আতঙ্কিত গ্রামের বাসিন্দারা। আর এই পরিস্থিতিতে নিজেই বিপর্যস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।