সংক্ষিপ্ত
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দলের সাত পঞ্চায়েত প্রধান নালিশ করেছিলেন হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে। আর এবার নিজের দলের একাধিক পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধেই আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। দলীয় বিধায়কের এই কাজে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে ঘাসফুল শিবির।
কয়েকদিন ধরে প্রকাশ্যে বিস্ফোরক মন্তব্য করে চলেছেন বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীকে হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি। তার জন্য তৃণমূলের তরফে হুমায়ুনকে শোকজ করা হয়েছিল। এরপর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দলের সাত পঞ্চায়েত প্রধান নালিশ করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে। আর এবার নিজের দলের একাধিক পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধেই আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। দলীয় বিধায়কের এই কাজে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে ঘাসফুল শিবির।
আরও পড়ুন- শীঘ্রই কি উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হবে, আজ থেকেই প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ কমিশনের
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই একটি সভা মঞ্চ থেকে জেলার রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছিলেন হুমায়ুন। রবিউলকে মারধর করার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। এই মন্তব্যের জেরে সরাসরি কলকাতার তৃণমূল ভবন থেকে মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁকে শোকজ করেন। তারপরই ভরতপুর ২ নম্বর ব্লকের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে অভিষেকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। যা নিয়ে দলের অন্দরে শোরগোল পড়ে যায়। তাঁদের অভিযোগ, হুমায়ুন কবীর তাঁর কিছু সমাজবিরোধী সাঙ্গপাঙ্গদের দিয়ে পঞ্চায়েতের উন্নয়নের কাজে বাধা দিচ্ছেন। ঠিকাদারদের কাছ থেকে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কাটমানি দাবি করছেন।
আরও পড়ুন- আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে প্রতারণা, নিউটাউনে গ্রেফতার ব্যক্তি
"
এই ঘটনার পরই আরও সুর চড়ান হুমায়ুন কবীর। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "আমাকে ছোটো করার জন্য এসব করা হয়েছে। আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে। আমার দলের ওই প্রধানরা ব্লক সভাপতি মহম্মদ আজাহারউদ্দিনের আজ্ঞাবাহক দাস হিসেবে কাজ করেন। আজাহার নিজেই তোলাবাজ।" এরপর দলের জেলা সভাপতি তথা সাংসদ আবু তাহেরের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন তিনি। বলেন, "এর আগে আমি ওই দুই দুর্নীতিবাজ ব্লক সভাপতিকে পদ থেকে সরানোর জন্য দলের রাজ্য নেতা সুব্রত বক্সিকে লিখিতভাবে জানিয়েছিলাম। তার কপিও দু’বার জেলা সভাপতিকে দেওয়া হয়েছে। কোনও ব্যবস্থা না করে চুপ থেকেছেন তাঁরা। আমি এগুলো মেনে নেব না।"
আরও পড়ুন- পুলিশ পরিচয়ে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়েছিলেন লক্ষাধিক টাকা, পর্ণশ্রী থেকে ধৃত ১
এই ঘটনার পরই দলের ৭ জন পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হুমায়ুন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "মানুষ আমার পাশে রয়েছে তাই মানুষের স্বার্থেই যারা দলে থেকে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে তাদের জন্য প্রয়োজনে আদালতে যাওয়া দরকার। এর বেশি এখন কিছু বলা যাবে না।" তবে এনিয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।