সংক্ষিপ্ত
সাদামাটা একটি ছোট্ট মাটির বাড়ি। বাড়ির ভিতরে যে আস্ত একটি কারখানা রয়েছে তা বোঝাই যায় না। ওই বাড়িতে অস্ত্র কারখানা রয়েছে বলে গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়েছিল পুলিশ। মঙ্গলবার ভোররাতে সেই বাড়িতে যৌথভাবে অভিযান চালায় কাটোয়া থানার পুলিশ ও এসওজি গ্রুপ।
অস্ত্র কারখানা হদিশ মিলল কাটোয়ায়। গোপন সূত্র থেকে কাটোয়ার দু'নম্বর ব্লকের লোহা পোতা গ্রামে একটি মাটির বাড়িতে অস্ত্র কারখানা রয়েছে বলে জানতে পেরেছিল কাটোয়া থানার পুলিশ। সেই বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম-সহ বন্দুক ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও ওই বাড়ির মালিক রমজান শেখকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সাদামাটা একটি ছোট্ট মাটির বাড়ি। বাড়ির ভিতরে যে আস্ত একটি কারখানা রয়েছে তা বোঝাই যায় না। ওই বাড়িতে অস্ত্র কারখানা রয়েছে বলে গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়েছিল পুলিশ। মঙ্গলবার ভোররাতে সেই বাড়িতে যৌথভাবে অভিযান চালায় কাটোয়া থানার পুলিশ ও এসওজি গ্রুপ। এদিকে ওই বাড়িতে ঢোকার পর অবাক হয়ে যান পুলিশকর্মীরা। ছোট্ট একটি সাধারণ মাটির বাড়িতে যে অস্ত্র তৈরির কারখানা বানিয়ে ফেলা যায় তা দেখে তাঁরা অবাক হয়ে যান। মাটির তৈরি খড়ের চালের তিনকুঠুরি ঘরের বাড়ি রয়েছে রমজান আলি শেখের। ডেকরেটর্সের সামগ্রী ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা করে সে। তাকে এলাকার লোকজন ডেকরেটর্স ব্যবসায়ী বলেই চেনে। যদিও পুলিশ অভিযান চালানোর আগেই সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন- জম্মু-কাশ্মীরে ফের ভেঙে পড়ল সেনার কপ্টার, রঞ্জিত সাগর তোলপাড় করে চলছে উদ্ধার অভিযান
এরপর ওই বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। ৩টি বেআইনি অস্ত্র, ১৭ রাউন্ড গুলি, বেশ কিছু যন্ত্রাংশ, গ্যাস সিলিন্ডার, লোহার পাইপ, স্প্রিং, স্ক্রু উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু অর্ধসমাপ্ত অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে ওই বাড়ি থেকে।
আরও পড়ুন - বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি তিনি, ৪৫ বছর পর ৯২-এর মায়ের কোলে ফিরে এলেন ছেলে
এই অস্ত্র কারখানা প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) ধ্রুব দাস বলেন, "লোহাপোতা গ্রামে রমজান আলি শেখ নামে এক ব্যক্তির ঘরের মধ্যে এই সব বেআইনি অস্ত্র, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ও গুলি উদ্ধার করেছি। তবে রমজান আলি শেখ অভিযান চালানোর আগেই পালিয়ে যায়। তার সন্ধান চালানো হচ্ছে।"
এই অস্ত্র কারখানায় যারা অস্ত্র তৈরি করত তারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নাকি বাইরে থেকে এসে কেউ অস্ত্র বানিয়ে দিত, কারা এই অস্ত্র কিনত, কোথায় অস্ত্রগুলি বিক্রি করা হত তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই চক্রের সঙ্গে ভিন্নরাজ্যের কারও যোগাযোগ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রমজান আলি শেখের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।