দ্বৈপায়ন লালা, মালদহ: গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হল না তো? করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ মালদহে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৭ জন। বাদ যাননি কালিয়াচক ও হবিবপুর থানার আইসি-সহ চার পুলিশ কর্মী এমনকী, মালদহ সদরের মহকুমাশাসকও। আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬০। সংক্রমণ রুখতে ফের লকডাউন জারির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কার্ফু জারির করার দাবিও উঠেছে।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হতে পারে ভার্চুয়ালি, করোনার আবহে অভিভাবকদের হাতে মার্কশিট
তখন লকডাউন চলছে পুরোদস্তুর। কাজ হারিয়ে ভিন রাজ্য থেকে দলে দলে পরিযায়ী শ্রমিক ফিরছেন রাজ্যে। ভিন রাজ্যে কাজ করেন, মালদহে এমন মানুষের সংখ্যা তো কম নয়। তাঁদের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ঢুকে পড়ে জেলায়। কিন্তু পরিস্থিতি যে এতটা ভয়াবহ আকার নেবে, তা আন্দাজ করতে পারেননি কেউ। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, প্রথম দিকে শুধুমাত্র পরিযায়ী শ্রমিকরাই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছিলেন। কিন্তু এখন আক্রান্তের তালিকায় ঢুকে পড়েছেন পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশও। বস্তত, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিজেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসায় অবশ্য সেরে উঠেছেন তিনি। সংক্রমিত হয়েছেন উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতি দুই সভাপতিও। নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে মালদহ সদরের মহকুমাশাসক, হবিবপুর থানা ও কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি ও চারজন পুলিশকর্মীরও!
আরও পড়ুন: ১১জন কোভিড পজিটিভ, স্বাস্থ্য়ভবনে বন্ধ হল এক নম্বর ট্র্য়াকিং সেল
আনলকের কারণেই বিপদ আরও বাড়ল? করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোমবার মালদহে ব্য়বসায়ী, রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রশাসনের আধিকারিকরা বৈঠকে বসেন। সূত্রে খবর, জেলায় ফের পুরোদস্তুর লকডাউন জারি করার নিয়ে আলোচনা হয়। স্রেফ লকডাউন নয়, প্রয়োজনে কার্ফুও জারি করার দাবি তুলেছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, দিন দশেকের জন্য যদি কার্ফু-সহ লকডাউন জারি করা হয়, তাহলে সংক্রমণের চেকটিকে ভেঙে দেওয়া যাবে এবং অতিমারী থেকে রেহাই মিলবে।