রাজ্য সীমান্তে করোনা জীবাণু টেস্ট, চলছে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নাকা

  • রাজ্যে শুরু হয়েছে করোনার জন্য অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা
  • সোমবার থেকে রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
  • আগত নাগরিক ও গাড়িগুলোকে পরীক্ষা শুরু হয়েছে সীমান্ত এলাকায়
  • রাজ্য ও ওড়িশার সীমান্তে চলছে স্বাস্থ্য বিষয়ক নাকা চেকিং

deblina dey | Published : Mar 15, 2020 6:24 AM IST

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে শনিবার সকাল থেকেই রাজ্যে শুরু হয়েছে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই নজরে এসেছে এই অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগুলি। করোনা আতঙ্কের জেরে ইতিমধ্যেই সোমবার থেকে রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি  সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বহিরাজ্য থেকে আগত নাগরিক ও গাড়িগুলোকে পরীক্ষা শুরু হয়েছে সীমান্ত এলাকায়।

আরও পড়ুন- করোনা মোকাবিলায় কড়া নজরদারি রাজ্য সরকারের, রাজারহাটে প্রস্তুত 'কোয়ারান্টাইন'

শনিবার দুপুর থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে রাজ্য ও ওড়িশার সীমান্তে স্বাস্থ্য বিষয়ক নাকা চেকিং শুরু হয়। ওড়িশার দিক থেকে আসা প্রতিটি গাড়িকে দাঁড় করিয়ে পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা করোণা ভাইরাসের জীবাণু পরীক্ষা করেছেন। লরি থেকে শুরু করে ছোট গাড়ি প্রতিটি গাড়িকে পরীক্ষা করে তবে এই রাজ্যে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুদ্দিন আহমেদ ও স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা নিজেরা দাঁড়িয়ে থেকে ওই পরীক্ষা চালিয়েছেন দিনভর। একই রকম পরীক্ষা হয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়খন্ডে সীমান্ত এলাকাতেও। স্বাস্থ্য দপ্তর ও প্রশাসনের কর্তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে করোনা সংক্রমণের ভয় না কাটা অবধি একই রকম নাকা চলবে।

আরও পড়ুন- মাস্কের ভেতর কোনও চিরকূট নেই তো, পরীক্ষাকেন্দ্রের ভেতর ধন্দে শিক্ষকর

গোটা বিশ্বের কাছে বর্তমানে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মারণ রোগ। ইতিমধ্যেই এই রোগকে বিশ্ব মহামারি বলে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চিনে এই রোগের উৎপত্তি হলেও ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরেছে এই মারণ রোগ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই মুহূর্তে বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৬৭৩০। সেই সঙ্গে ভারতে এই মুহূর্ত অবধি আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩। কোভিড-১৯-এর কারণে দেশে প্রাণহানি হয়েছে ২ জনের। শনিবার মহারাষ্ট্রের বুলধানা জেলায় চিকিত্সা চলাকালীন মৃত্যু হওয়া ব্যক্তির ক্ষেত্রেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Share this article
click me!