Coronavirus in WB: বাংলায় ফিরছে করোনার চোখ রাঙানি, নদীয়ায় একই স্কুলে আক্রান্ত ২৯ পড়ুয়া

১৬ নভেম্বর রাজ্যের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো খোলে কল্যাণীর নবোদয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়। এরপর চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে কয়েকজন পড়ুয়ার শরীরে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো করোনার উপসর্গ দেখা যায়।

Jaydeep Das | Published : Dec 22, 2021 11:28 PM IST

পিছু ছাড়ছে না করোনা আতঙ্ক। এদিকে গোটা দেশ জুড়েই হু হু করে বেড়ে চলেছে ওমিক্রণ সংক্রমিতের সংখ্যা। এমতাবস্থায় বড়সড় করোনা হানা দেখা গেল নদিয়ার কল্যাণীর নবোদয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে(Kalyani Naboday Kendriya Vidyalaya)। একযোগে করোনার কবলে পড়েছেন ২৯ জন পড়ুয়া(29 students)। এই ঘটনাতেই নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে গোটা জেলাজুড়ে। এদিকে করোনা মহামারির জেরে প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে রাজ্যে বন্ধ ছিল সমস্ত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের দরজা। প্রশাসন মহামারীর(Corona Pandemic) মাঝে স্কুল খুলে কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি। তবে পড়ুয়াদের মাথায় চিন্তার শেষ ছিল না। ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে চিন্তায় ছিল অবিভাবকেরাও। তবে প্রশাসনের স্পষ্ট আশঙ্কা ছিল, করোনার(Coronavirus) বাড়বাড়ন্ত কমার আগে স্কুল খুললে বড় বিপদ হতে পারে। এবার যেন সেই আশঙ্কাই সত্যি হতে শুরু করেছে। আর তাতেই ফের আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্যেই।

সূত্রের খবর, ১৬ নভেম্বর রাজ্যের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো খোলে কল্যাণীর নবোদয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়। এরপর চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে কয়েকজন পড়ুয়ার শরীরে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো করোনার উপসর্গ দেখা যায়। তারপরেই স্কুল কর্তৃপক্ষ করোনা টেস্টের(Corona Test) সিদ্ধান্ত নেয়। সম্ভাব্য সংক্রমণের আশঙ্কা করে ওই ছাত্রছাত্রীর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় কল্যাণীর জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। বর্তমানে তাদের সকলের রিপোর্ট আসতেই দেখা যায় তারা সকলেই করোনা সংক্রমিত। এরপরেই স্কুল কর্তৃপক্ষ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সহায়তায় স্কুল(School) ক্যাম্পাসের ভিতরে আরটি পিসি ক্যাম্প বসানোর উদ্যোগ নেয় বলে জানা যায়। এরপরই স্কুলের ৩১৪ জন পড়ুয়ার। যার মধ্যে ২৯ জনের শরীরে বাসা বেঁধেছে করোনা। যা দেখে চোখ কপালে ওঠে অনেকরই। এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকাতেও আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন-মালদহে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা, বাধা দিলে মাথায় কোপ প্রতিবেশী যুবকের

এদিকে এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী নাগ জানিয়েছেন, স্কুল খোলার পর ৭ ডিসেম্বর ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে থেকেও করোনা ছড়িয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে এখনও কিছুই জানা যায়নি। তবে করোনা আক্রান্ত পড়ুয়াদের মধ্যে তিন জন ছাড়া প্রত্যেকেই উপসর্গহীন বলে জানা যাচ্ছে। আক্রান্ত পড়ুয়াদের ইতিমধ্যেই বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানেই তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

Share this article
click me!