রেশন থেকে বিনামূল্যে খাদ্যদ্রব্য বিলির ব্যবস্থা করেছে সরকার। লকডাউনে বাজারে ব্যক্তিগত উদ্যোগেও দুঃস্থদের চাল, ডাল, আলু দিচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু মশলা কিংবা তেল ছাড়া কি আর রান্না হয়! দুধ, সয়াবিনের মতো পুষ্টিকর খাবারই তারা পাবে কোথায়! যমজ মেয়েদের আবদার মেটাতে করোনা ত্রাণে এসবই দান করলেন এক দম্পতি। অভিনব ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে।
আরও পড়ুন: রেশনের চালে পেট ভরছে না, লকডাউনে খাদ্যের দাবিতে পথে নামলেন 'অভুক্ত'রা
দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক ইঞ্জিনিয়ার দীপক পাত্র। তাঁর স্ত্রী লাভলি পেশায় শিক্ষিকা। ওই দম্পতির দুই যমজ মেয়ে। টাপুর আর টুপুর। পরিবারের আর্থিক অবস্থা যথেষ্ট স্বচ্ছল। প্রতিবছর মেয়েদের জন্মদিন বেশ ধূমধাম করেই পালন করেন দীপক ও লাভলি। এবার করোনা আতঙ্কে সব উলটপালট হয়ে গিয়েছে। তাতে অবশ্য আফসোস নেই, উল্টে সংকটের সময়ে গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাবা-মায়ের কাছে আবদার করে ওই দুই বালিকা। ডাল, ডাল, আলু তো সবাই দিচ্ছে, তেল-মশলা-দুধ-সয়াবিনের মতো খাবার যদি দেওয়া যায়! মেয়েদের আবদার ফেলতে পারেননি পাত্র দম্পতি। বরং খুশি হয়ে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের যা খরচ হত, তার থেকে বেশি টাকা দিয়ে কিনে আনেন খাদ্যসামগ্রী।
আরও পড়ুন: লকডাউনে পুর কর জমা করলে বিশেষ ছাড়, বড় ঘোষণা শিলিগুড়ির মেয়রের
আরও পড়ুন: উদ্বেগের মধ্য়ে স্বস্তি, হাওড়া হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার-সহ ২ জনের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ
শনিবার কাঁথি শহরে ২৫০টি পরিবারের সদস্যদের হাতে রান্নার যাবতীয় মশলা, সর্ষের তেল, সয়াবিন-সহ বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার ও প্রয়োজনী সামগ্রী তুলে দিলেন দীপক ও তাঁর স্ত্রী লাভলি। সঙ্গে ছিল তাঁদের দুই মেয়েও। তাদের এমন অভিনব ভাবনাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলেই। আগামী দিনে করোনা ত্রাণের চেনা ছবিটা কি বদলাবে? এখন সেটাই দেখার।