চকোলেট, ক্যাডবেরি, স্যান্ডউইচ খেয়ে অনশন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বনধ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে এমনই কটাক্ষ করলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, বাংলার শিল্প সম্ভাবনার ভ্রূণ হত্যা করেছেন মমতা।
এ দিন সকাল থেকেই গোটা রাজ্য জুড়ে বাম এবং কংগ্রেস সমর্থিত ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা বনধের ভাল রকম প্রভাব পড়ে। বিভিন্ন জায়গায় রেল, সড়ক অবরোধ হয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ এবং ধস্তাধস্তিতেও জড়ান বনধ সমর্থকরা।
আরও পড়ুন- গাড়ি ভাঙছে পুলিশ, ভাইরাল ফুটেজ ঘিরে তোলপাড় বাংলা, দেখুন ভিডিও
এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন গঙ্গাসাগর থেকে বামেদের বনধ কাজনীতির তীব্র নিন্দা করেন। বনধ সমর্থকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলনের পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গেই তিনি মনে করিয়ে দেন, সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় হিংসাত্মক পথে না হেঁটে তিনি ছাব্বিশ দিন অনশন করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও প্রশ্ন তোলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা যখন ভাল নয়, তখন কেন বনধ ডেকে সাধারণ মানুষের সমস্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে?
এরই জবাব দিতে গিয়ে এ দিন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম পাল্টা কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় তৃণমূলনেত্রীর ছাব্বিশ দিনের অনশনকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। সিপিএম নেতা বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী কোন অনশনের কথা বলছেন? চকোলেট, ক্যাডবেরি আর স্যান্ডউইচ খেয়ে করা অনশন?' এখানেই না থেমে সিপিএম নেতা অভিযোগ করেন, ওই অনশন আন্দোলন করেই রাজ্যের কল কারখানা তৈরি এবং শিল্প সম্ভাবনার ভ্রূণ হত্যা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস নেতারাও। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্ররাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন। তাঁরাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, এখন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কথা বললেও বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন বিধানসভা ভাঙচুর করেথছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমও অভিযোগ করেন, ২০০৬ সালের পর থেকে সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম পর্বে নানা রকম গুজবেও বনধ ডাকতেন মমতা।